সৈকত মাইতি ও বাবুল হক, তমলুক ও মালদহ: আবাস যোজনা দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করতে এই মুহূর্তে রাজ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapore) নানা জায়গায় ঘুরে পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার নন্দকুমারে তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। এরপর তাঁরা কুমারচক গ্রামে পৌঁছে তালিকা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় দলটি। সেখানে তাঁদের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব ও বিডিও। টাকা নিয়ে তালিকায় নাম তোলা হয়েছে, এই অভিযোগ পেয়েই প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নন্দকুমার (Nandakumar) ব্লকের কুমারচক গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে, তাঁরাও ফের আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখেন। বুধবার তাঁরা খতিয়ে দেখেছিলেন, যাঁরা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন কি না। এই সময়ে তাঁদের অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা। ঠিকমতো সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: সমকামী আইনজীবীকে বিচারপতি করতে নারাজ কেন্দ্র, আপত্তি ওড়াল সুপ্রিম কোর্ট]
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা তাঁদের বুঝিয়ে বলেন, ”আপনাদেরই অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করছি। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” এরপরে বিভিন্ন বাড়িতে যায় প্রতিনিধি দল। দেখা যায়, কোনও ব্যক্তির দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। কিন্তু পাশের ঝুপড়ি দেখিয়ে আবাসের তালিকায় নাম উঠেছে। তা দেখার পর গ্রাম পঞ্চায়েত সচিব আশুতোষ জানা এবং নন্দকুমারের বিডিও শানু বক্সিকে ভর্ৎসনা করেন কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা। তাঁরা বলেন, ”আপনাদের নামে অভিযোগ, টাকা নিয়ে আবাস তালিকায় নাম তোলার। ঘুষ নিয়ে আপনারা নাম রেকমেন্ড করছেন!”
[আরও পড়ুন: ‘দিদির দূত’ শতাব্দীর কাছে স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবদার, পরিবেশন করে খাওয়ালেন মহুয়া]
এদিকে, মালদহে (Maldah) কাজ করতে গিয়ে মোষের তাড়া খেল কেন্দ্রীয় দল! হরিশ্চন্দ্রপুরে মারমুখী মোষের হাত থেকে বাঁচতে অন্তত একশো মিটার দৌড়ে পালাতে হল এক প্রতিনিধিকে। সদর রাস্তা ছেড়ে ডান হাতের একটি গলিতে ঢুকে পড়েন কেন্দ্রীয় দলের ওই প্রতিনিধি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সেই গলির মধ্যে কিছুক্ষণ লুকিয়ে থাকতে হয় কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত সংস্থার প্রতিনিধি রাম সাগরকে। কিছুক্ষণ পর রাস্তায় মোষ নেই, দেখে সেই গলি থেকে বেরিয়ে আসেন রাম সাগরসাহেব। রীতিমতো হাঁফিয়ে ওঠেন তিনি। কিছুক্ষণ পর অবশ্য তিনি ফের কাজ শুরু করেন।