shono
Advertisement
Uttar Pradesh

প্রেমের টানে ধর্ম পরিবর্তন, সাহিদা থেকে লক্ষ্মী হয়েও শ্বশুরবাড়িতে ঠাঁই হল না তরুণীর

লক্ষ্মীর অধিকার ও স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোট বেঁধেছেন গ্রামবাসীরা।
Published By: Subhankar PatraPosted: 10:27 PM May 22, 2024Updated: 11:12 PM May 22, 2024

ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রেমের টানে ছেড়েছেন পরিবার। এক কাপড়ে স্বামীর হাত ধরে বেরিয়ে এসেছেন নিজের বাড়ি থেকে। ধর্ম বদলে 'সাহিদা' থেকে হয়েছেন 'লক্ষ্মী'। বিয়ে করেন অন্য ধর্মের যুবকে। নিজের রাজ্য ছেড়ে চলে আসেন এরাজ্যে। শ্বশুরবাড়ি থাকেনও কিছু দিন। স্বামীর সঙ্গে তাঁর কর্মক্ষেত্র উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দেন তিনি। সবকিছু ঠিকই ছিল। তবে সোমবার একাই ফিরে আসেন এরাজ্যে শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু ঘরের লক্ষ্মীকে বাড়িতে ঠাঁই দিতে নারাজ শ্বশুরবাড়ি। লক্ষ্মীর অধিকার ও স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জোট বেঁধেছেন গ্রামবাসীরা। এখন বধূর ভরণপোষণ জোগানোর দায়িত্বও সাময়িকভাবে সামলাচ্ছেন তাঁরাই।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রামের বাসিন্দা সুমন বারুই। তিনি কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যান। সেখানে পরিচয় হয় মহারাজগঞ্জ জেলার থুতিবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী ওরফে সাহিদা খাতুনের সঙ্গে। পরিচয় গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। তার পর বিয়ে। তবে অন্য ধর্মের যুবকের সঙ্গে বিয়ে মেনে নেয়নি সাহিদার পরিবার।  লক্ষ্মীদেবী বলেন," দুজনের ধর্ম আলাদা। তাই আমার পরিবার সম্পর্ক মেনে নেয়নি। আমি গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আইনি প্রক্রিয়া মেনে ধর্ম পরিবর্তন করি। তার পর ওখানেই একটি মন্দিরে গিয়ে দুজনে হিন্দুমতে বিয়ে করি।"

[আরও পড়ুন: শাহ-যোগী ‘বিভেদ’ উসকে দেওয়ার কৌশল, দিল্লি জয়ে নয়া চাল কেজরির]

স্থানীয় বাসিন্দা সাধন রায়, দীনবন্ধু বিশ্বাস , মিহির পণ্ডিতরা বলেন," বিয়ের পর সুমন স্ত্রীকে নিয়ে নিজের বাড়িতে এসেছিল। এখানেই বেশকিছু দিন ছিল ওঁরা। সুমন মাস দুয়েক আগে স্ত্রীকে নিয়ে কর্মস্থলে চলে যায়। আমরা সবাই জানতাম ওখানেই সুখে সংসার করছে। কিন্তু গত সোমবার দেখি লক্ষ্মী একাই নৈহাটি চলে এসেছে। কিন্তু ওকে শ্বশুরবাড়ির লোক ঘরে ঢুকতে দেয়নি। শ্বশুরবাড়ির দরজার সামনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসেছিল। ওর শ্বশুর শাশুড়িকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু তারা এখন লক্ষ্মীকে মেনে নিতে চাইছে না। শুনছি ওর স্বামীও এখন নির্যাতন করছে।"

স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের আশ্রয়েই রয়েছেন সাহিদা। বুধবার নৈহাটি মাসিসাঁকো থেকে পুরুষ মহিলা মিলে প্রায় ৫০-৫২ জন কেতুগ্রাম থানায় আসেন। তাঁদের দাবি শ্বশুরবাড়ির অধিকার দিতে হবে লক্ষ্মী বারুইকে। তারা পুলিশের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন। গৃহবধূ দুলালী সিনহা, আলোরানী মণ্ডলরা বলেন, "যে মেয়েটা তাঁর পরিবার পরিজনদের ছেড়ে দিয়ে বিশ্বাস করে বিয়ে করেছে, তার প্রতি এই অবিচার আমরা মেনে নেব না। লক্ষ্মীর নায্য অধিকার আদায়ের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।"

[আরও পড়ুন: ধর্মীয় লাইনে প্রচার নয়, পাঁচ দফা ভোটের পর বিজেপিকে নির্দেশ কমিশনের, সতর্কবার্তা কংগ্রেসকেও

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা সুমন বারুই। তিনি কয়েক বছর আগে উত্তরপ্রদেশে একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজে যান।
  • সেখানে পরিচয় হয় মহারাজগঞ্জ জেলার থুতিবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী ওরফে সাহিদা খাতুনের সঙ্গে।
  • তবে এখন সাহিদার শ্বশুরবাড়ির লোক তাকে মেনে নিতে নারাজ।
Advertisement