সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই শিশুর মৃত্যু। ভুল চিকিৎসার অভিযোগে দুর্গাপুরের অণ্ডাল থানার উখড়া এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। চিকিৎসকের চেম্বারে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। উত্তেজিত জনতার ইট ও ঢিলের ঘায়ে মাথা ফাটল ওসির। এই ঘটনার পর থেকে মাধাইগঞ্জ রোডের ওই চিকিৎসক বেপাত্তা। তাঁর খোঁজে চলছে তল্লাশি।
দুর্গাপুরের উখড়া সরপি রোডের পুরাতন হাটতলা এলাকায় নিজস্ব চেম্বার রয়েছে রাজেশ মাজি নামের এক চিকিৎসকের। পাণ্ডবেশ্বরের জোয়ালভাঙ্গা এলাকায় বাসিন্দা রাজু বাউড়ির বছর ছয়েকের ছেলে গোবিন্দর দু-তিন দিন ধরে পেটের রোগে ভুগছিল। ডিহাইড্রেশন হয়েছিল গোবিন্দর। চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে শুক্রবার সকালে ডাক্তার রাজেশ মাঝির চেম্বারে নিয়ে যায়। চিকিৎসক শিশুটিকে বেশ কয়েকটি ইনজেকশন দেন। এরপর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে পরিবার। কিন্তু বাড়িতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সন্ধ্যায় ফের তাকে চিকিৎসকের চেম্বারে নিয়ে যায়। তখন চিকিৎসক রাজেশ মাঝি শিশুটিকে তাঁর চেম্বারে ভর্তি করার কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরেই চেম্বারে শিশুর মৃত্যু হয়।
ভুল চিকিৎসাতে শিশুটি মারা যায় বলে অভিযোগ করেন বাবা রাজু বাউড়ি। এই খবর এলাকায় পৌঁছলে সেখান থেকে আত্মীয়-পরিজন, স্থানীয়রা, চিকিৎসকের চেম্বারে ভিড় করেন। তবে তার আগে সুযোগ বুঝে অভিযুক্ত চিকিৎসক চেম্বার ছেড়ে চম্পট দেন। ক্ষুব্ধ আত্মীয় পরিজনেরা চেম্বারে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উখরা ফাঁড়ি ও অণ্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে হঠাতে যায়। আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে তারা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট, ঢিল। তাতে অণ্ডাল থানার ওসি মেঘনাথ মণ্ডল-সহ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন।