বাবুল হক, মালদহ: চরবৃত্তির অভিযোগ ভারতে অনুপ্রবেশকারী চিনা (China) নাগরিককে ৬ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠাল মালদহের (Maldah) আদালত। তার কাছ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে খবর বিএসএফ সূত্রে। হান জুয়েই নামের ওই চিনা নাগরিকের বিরুদ্ধে মূলত বিদেশি আইনের (Foreign Act) ১৪ বি ধারা অর্থাৎ বৈধ নথি ছাড়া ভারতে প্রবেশের অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তের সুবিধায় আরও কয়েকটি ধারা যোগ করা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে আপাতত তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাতে চায় কালিয়াচক থানার পুলিশ। প্রয়োজনে দেশের সব কটি থানাকে সতর্ক করা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ থেকে মালদহ সীমান্ত হয়ে ভারতে প্রবেশের সময়ে বিএসএফের (BSF) হাতে ধরা পড়ে চিনা নাগরিক হান জুয়েই। তাকে একদিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন বিএসএফ কর্তারা। উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বৈধ নথিপত্র ছাড়াই গুরুগ্রামের একটি হোটেলের মালিক হান। ৮ কোটি টাকা দিয়ে সেই হোটেল সে কিনেছিল বলে খবর মেলে। এরপর শুক্রবার সন্ধের দিকে বিএসএফের তরফে হানকে তুলে দেওয়া হয় কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে। শনিবার মালদহ আদালতে পুলিশ তাকে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ফের নতুন করে জেরা শুরু করতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: মিলছে না কাজের সুযোগ! দলত্যাগ মুকুল ঘনিষ্ঠ বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ-সভাপতির]
হান সম্পর্কে আরও তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সে। পাশাপাশি, ভারত এবং চিনের কয়েকজন সেনা অফিসারের সঙ্গেও তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। হান একজন সাইবার বিশেষজ্ঞ বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সাইবার জালিয়াতিতেও হাত পাকিয়ে সে তথ্য পাচারের মতো অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত কি না, তা জানার চেষ্টা চলছে। হানের ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ড ডিস্ক সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কোভিডে প্রয়াত রামকৃষ্ণ মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী শিবময়ানন্দ]
এদিকে, হানের আরেক সঙ্গী সান জিয়াং বেশ কয়েকদিন আগে লখনউ থেকে গ্রেপ্তার হয় ATS’এর হাতে। এবার হান গ্রেপ্তার হওয়ার পর লখলউ এটিএসের একটি দল তাকে জেরা করতে মালদহে আসার কথা। কালিয়াচক পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে হানকে ট্রানজিট রিমান্ডে লখনউ নিয়ে গিয়ে সঙ্গী সান জিয়াংয়ের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা হতে পারে বলে খবর। তদন্তকারীদের অনুমান, হান জুয়েই এবং সান জিয়াংয়ের উদ্দেশ্য বেশ গোলমেলে ছিল। হোটেল চালানোর আড়ালে চরবৃত্তিই (Espionage) ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যে ভারতের কোন কোন তথ্য তারা পাচার করেছে, তা দ্রুত জানতে চান গোয়েন্দারা।