দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ভাঙড়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশের সাংসদের দেহাংশ? অ্যাপ ক্যাব চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের দাবি অনুযায়ী, খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে কাটা হয়। দেহাংশ পোলেরহাট থানার ভাঙড়ের কৃষ্ণমাটি গ্রামে ফেলা হয়েছে। এই মুহূর্তে সিআইডি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। চলছে জোর তল্লাশি।
দেহাংশের খোঁজে ঘটনাস্থলে তদন্তকারীরা। নিজস্ব চিত্র
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসা করাতে কলকাতায় আসেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। তার পর পরিবারের সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করেননি। ১৪ মে থেকে তাঁর ফোনও বন্ধ ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষবার তাঁর মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন উত্তরপ্রদেশে পাওয়া গিয়েছিল। তবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে আনোয়ারুলের পরিবার যোগাযোগ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর যোগাযোগ করে দিল্লি ও কলকাতায় বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে। ওই সাংসদের খোঁজে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বিধাননগর পুলিশ। তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। ঘটনার তদন্তভার নেয় সিআইডি।
[আরও পড়ুন: ‘এই রাজ্যে Ph.D-র ইতিহাস ভালো না’, হিরণকে তোপ ‘বাম’ রাহুলের, দেবের খোঁচা, ‘ঢপের ডক্টর’!]
পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পর দেহ সারারাত ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। পরে দেহটি ট্রলিতে ভরে নিউটাউন থেকে গাড়ি বদল করে খুনিরা পৌঁছয় রাজারহাটে অ্যাক্সিস মলের কাছে। নজরুল তীর্থের কাছে কোথাও দেহটি ফেলে দেওয়া হয়। তার পর খুনিরা আরেকটি গাড়ি নিয়ে বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যায়। মনে করা হচ্ছে, সাংসদ আনোয়ারুলের দেহ টুকরো প্রথমে হাড় আর মাংস পৃথক করা হয়। তার পর তা হলুদ মিশিয়ে একটি ট্রলিতে ভরা হয়। তা নিয়ে বেরন তারা। আপাতত দেহাংশের খোঁজে চলছে জোর তল্লাশি।