অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভোট পরবর্তী হিংসায় ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া (Bhatpara)। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে এলাকায় চলে বোমবাজি। বোমার ঘায়ে জখম বেশ কয়েকজন। আহতদের তালিকায় রয়েছেন পুলিশকর্মীও। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
ঠিক কী হয়েছিল? রবিবার রাতে আচমকাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়ার ২৯ নম্বর রেলগেট সন্নিহিত এলাকা। অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর ব্যাপক সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা পড়তে থাকে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বোমার ঘায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত অনেকেই জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক পুলিশকর্মীও রয়েছেন। সুব্রত গোস্বামী নামে ওই পুলিশকর্মী (Policeman) জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে ব়্যাফ।
[আরও পড়ুন: ‘উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবি শান্তি বিঘ্নিতকারী’, বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে FIR তৃণমূল নেতার]
এর আগেও একাধিকবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। দিনকয়েক আগে প্রাণও হারান এক বিজেপি কর্মী। ভাটপাড়ার লাগাতার অশান্তি নিয়ে শাসক-বিরোধীর মধ্যে তরজাও লেগে রয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল না হওয়ায় বাংলায় অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিরোধী বিজেপি। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ভাটপাড়ায় অশান্তি তৈরি করছে তারা। আর এই অশান্তির নেপথ্যে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের হাত রয়েছে বলেই দাবি ঘাসফুল শিবিরের। যদিও সে দাবি বারবার নস্যাৎ করেছে পদ্মশিবির। তাদের দাবি, শাসকদল তৃণমূল তৃতীয়বারের জন্য মসনদে বসার পর থেকেই ‘অশান্ত’ রাজ্য। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলেও দাবি তাদের। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে নালিশ জানাতে একাধিকবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালও বিরোধী দলনেতাকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও সুর চড়ান তিনি। দিল্লিতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ জানাতেই তাঁর দিল্লি সফর বলেই দাবি।