টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: স্কুল থেকে ফিরে পাঁচতলার ছাদে জামাকাপড় তুলতে গিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। খানিক পরেই তার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল বাড়ির সামনে থেকে। শনিবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া শহর এলাকায়। কীভাবে সে ছাদ থেকে পড়ে গেল? তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
এদিন দুপুরে বছর তেরোর অদ্রিজা দাস স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছিল। আজ তার পরীক্ষার রেজাল্টও বেরিয়েছিল। বাবা-মা ও তিন বছরের বোনের সঙ্গে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতাপবাগান এলাকার ওই আবাসনেই সে থাকত। এদিন স্কুল থেকে ফিরতেই তাঁর মা বীণা দাস তাঁকে ছাদ থেকে জামাকাপড় তুলে আনতে বলেছিলেন। ওই কিশোরী মায়ের কথায় ছাদে চলে যায়। কিছু পরে জানা যায় সে ছাদ থেকে পরে গিয়েছে!
ওই আবাসনের বাসিন্দারা জড়ো হন সেখানে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও আশার আলো দেখা যায়নি। চিকিঠসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কীভাবে ওই কিশোরী ছাদ থেকে পড়ে গেল? সেই নিয়েই এখন একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। ছাদের পাঁচিলের ধারে কেন গেল সে? মেয়েকে একা ছাদে কেন পাঠিয়েছিলেন মা? তাঁর পরীক্ষার ফল কেমন হয়েছে? এটা কি নিছকই দুর্ঘটনা? নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? সেইসব প্রশ্ন উঠছে।
অদ্রিজার বাবা পেশায় স্কুলশিক্ষক প্রবীরকুমার দাস জানাচ্ছেন, ছাদের কার্নিশের ধারে একটি প্যান্ট আটকে গিয়েছিল। সেই প্যান্ট পাঁচিল থেকে ঝুঁকে আনতে গিয়েই মেয়ে পড়ে যায়। আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী রাজেশ গড়াই জানাচ্ছেন, দুপুর আড়াইটে নাগাদ একটি শব্দ হয়। তিনি দেখেন, ওই পাঁচতলা বাড়ির সামনেই মাটিতে পড়ে কিশোরী রক্তাক্ত অবস্থায় ছটফট করছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।