শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: জেলা সফরে গিয়ে জনসংযোগকেই সবচেয়ে গুরুত্ব দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। উত্তরবঙ্গে কয়েকদিনের কর্মসূচিতেও সেই কাজই করে চলেছেন তিনি। রবিবার জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট পৌঁছেই রাস্তায় বেরন মুখ্যমন্ত্রী। বড়দের শীতবস্ত্র, ছোটদের হাতে টেডিবিয়ার উপহার তুলে দেন। এর পরই রাস্তার ধারে এক গেরস্থ বাড়িতে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। বয়স্কা মহিলাকে দেখে বলে ওঠেন – ‘আপনি তো মায়ের মতো’। সেই বাড়িতে ঢুকে চা খান মমতা। ঘরের খাটে বসে সকলের সঙ্গে জমিয়ে গল্প করেন। বাড়ির মেয়ে-বউরা মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে আপনজনের মতো কাছে পেয়ে আপ্লুত।
প্রায় সপ্তাহখানেকের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্শিয়াং, আলিপুরদুয়ারে জনসভা, সরকারি পরিষেবা সেরে রবিবার তিনি পৌঁছলেন জলপাইগুড়ির বানারহাটে। হেলিকপ্টার থেকে নেমেই প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে পায়ে হাঁটা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর পরই তিনি আদর্শ পল্লির শীতলা মন্দিরে পুজো দেন। পুজো দিয়ে বেরিয়ে তিনি রাস্তার পাশে এক বৃদ্ধাকে দেখে প্রণাম করেন। তার শারীরিক খোঁজখবর নিতে প্রতিভা ভদ্র নামে মহিলার কাঠের বাড়িতে ঢুকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। ঢুকেই তিনি ঠাকুরঘর, রান্নাঘর ঘুরে দেখেন।
[আরও পড়ুন: একই দিনে জোড়া মরণোত্তর অঙ্গদান, নয়া নজির কলকাতায়]
মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানান, চা খেতে চান। প্রতিভা ভদ্রের পুত্রবধূ মুখ্যমন্ত্রীকে চা বানিয়ে দেন। সকলের সঙ্গে খাটে বসে সবুজ কাপে চা পান করেন তিনি। তাঁদের শীতের চাদর উপহার দিয়েছেন। সকলে বলছেন, ”আজ একটা স্বপ্ন পূরণ হলো।”
প্রতিভাদেবী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”প্রথমে দেখা হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী আমাকে প্রণাম করেন। এর পর আমার শরীরের খোঁজখবর নেন। আমার বাড়ির ঠাকুর ঘর, রান্নাঘর ঘুরে দেখেন। কী রান্না হয়েছে, তাও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে দেখব। সেই স্বপ্ন এদিন পূরণ হল। এটা আমার কাছে স্বপ্নেও অতীত।”
[আরও পড়ুন: ভারত থেকে বন্ধ রপ্তানি, বাংলাদেশে পেঁয়াজের দর পৌঁছল ডবল সেঞ্চুরিতে!]
প্রতিভার ভদ্রের পুত্রবধূ রীতা পোখরেল ভদ্র বলেন, ”জানতাম না মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বাড়িতে আসবেন। এক কাপ চা আর জল খেলেন। আমরা সত্যি খুবই আনন্দিত। কী যে বলব, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।”
দেখুন ভিডিও: