স্টাফ রিপোর্টার: কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে এবার গ্রেপ্তার কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদাধিকারী-সহ ২। বেআইনিভাবে কয়লা তুলে চোরাপথে পাচারের অভিযোগে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআইএসএফ-এর (CISF) ইন্সপেক্টর আনন্দকুমার সিং ও ইসিএলের প্রাক্তন কর্তা সুনীলকুমার ঝা। এর আগেও কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ইসিএলের একাধিক আধিকারিক। এবার সরাসরি খনির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকও সিবিআইয়ের জালে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, কয়লা পাচারের (Coal Scam) মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা ও তাঁর লোকেদের মদত জোগাতেন ইসিএলের আধিকারিকরা। তাঁরাই বিপুল টাকার বিনিময়ে অবৈধ খনি থেকে কয়লা তুলে বাইরে পাচারের কাজে সাহায্য করতেন। সেই কয়লা ভরতি মালবাহী গাড়ি অতি সহজেই চলে যেত রাজ্যের বাইরে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সিবিআই জানতে পারে যে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীতলপুর ইউনিটের সিআইএসএফ ইন্সপেক্টর (Inspector) আনন্দকুমার সিং কয়লা পাচারের মদত জোগাতেন। তাঁর সঙ্গে সরাসরি লালার যোগাযোগ ছিল।
[আরও পড়ুন: দ্য কেরালা স্টোরি: শুভাপ্রসন্নকে নিশানা সায়নী ঘোষের, ‘ওর জন্ম কবে?’, পালটা প্রশ্ন শিল্পীর]
এছাড়াও লালার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেআইনিভাবে কয়লা তোলার ক্ষেত্রে মদত জোগাতেন ইসিএলের প্রাক্তন ডিরেক্টর (টেকনিক্যাল) সুনীলকুমার ঝা। মূলত ইসিএলের লিজ নেওয়া কানুস্তোরিয়া ও কাজোরায় এই দুর্নীতি চলত। গত বছরের ১৯ জুলাই আসানসোল আদালতে ৪১ জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সিবিআই চার্জশিট (Chargesheet) দাখিল করে। ইসিএল ছাড়াও সিআইএসএফ, রেল ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই। খনি থেকে পাচার করা কয়লা ছাড়াও রেলের সাইডিংয়ে জমা করা কয়লাও চুরি করে বাইরে পাচার করত এই চক্রটি। এই কীর্তির জন্য আধিকারিকদের বিপুল টাকা ঘুষ দেওয়া হত। ইতিমধ্যেই কয়লা কাণ্ডে এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই তল্লাশি করেছে। তদন্ত করেছে ইডিও। ধৃতদের জেরা করে এই কয়লা পাচারের সঙ্গে আরও যারা যুক্ত, তাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
[আরও পড়ুন: ‘যেমন কুকুর, তেমনি মুগুরের ব্যবস্থা করুন’, ফের বিতর্কিত মন্তব্য বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের]
এ বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, ”কয়লা, গরু পাচারে এখন ইসিএলের আধিকারিক, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে। আমরা তো বারবার এটাই বলে আসছি। কয়লাখনি তো কেন্দ্রের অধীনে। সেখান থেকে যদি পাচার হয়, তাহলে তো কেন্দ্র যাদের নিরাপত্তার জন্য রেখেছে, তাদের ত্রুটি। আবার গরুর ক্ষেত্রেও তাই। সীমান্ত দিয়ে যদি গরু পাচার হয়, সেখানে তো পাহারা দেয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শুধু শুধু বিজেপি নেতারা কেন এখানে এসে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে? এখন তো ইডি, সিবিআইয়ের চার্জশিটেই বিএসএফের নাম রয়েছে পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে।”