অভিরূপ দাস: পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ি চেপে ভোটের দিন বহিরাগতরা এলাকায় ঢুকেছে, এমনটাই অভিযোগ। প্রতিবাদে গাড়ি এবং বাইকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। ভাঙচুরের পর মাঝরাস্তায় উলটে দেওয়া হয় গাড়ি। নর্দমায় ঠেলে ফেলা হয় বাইক। পরিস্থিতি সামাল দিতে পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুরভোটের দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির (Kamarhati) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাসুদেবপুর।
ঠিক কী হয়েছিল? স্থানীয়দের দাবি, রবিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তিনটি গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি বাইক পৌঁছায় কামারহাটির ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রায় সবক’টি গাড়িতেই লাগানো ছিল পুলিশের স্টিকার। গাড়িগুলি দেখেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। মুহূর্তের মধ্যে ঘিরে ফেলা হয় ওই গাড়িগুলি। শুরু হয় ব্যাপক ভাঙচুর। গাড়ির কাচ ভেঙে ফেলা হয়। গাড়ি এবং বাইকগুলি উলটে ফেলে দেওয়া হয়। মুহূর্তের মধ্যে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
[আরও পড়ুন: সদ্যোজাত সন্তানকে হারানোর পরেও দুরন্ত শতরান! বিষ্ণু সোলাঙ্কির ইনিংসে মুগ্ধ ক্রিকেট দুনিয়া]
তড়িঘড়ি বারাকপুর কমিশনারেটের কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনাস্থলের আশেপাশে থাকা একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। বেশ কয়েকটি বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। যদিও ধৃতরা অপরাধ কবুল করেনি। তাদের দাবি, রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ অযথাই আটক করেছে। পুলিশের গাড়ি আটকে রাস্তায় শুয়ে অঝোরে কান্নাকাটি করেন আটক এক যুবকের মা-ও।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধী সিপিএম এবং বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশনে (West Bengal Election Commission) বিষয়টি জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চাইলে ২ মিনিটে ঘটনাস্থল ফাঁকা করে দিতে পারতাম। তবে দলের নির্দেশ মেনে কিছুই করছি না। সাধারণ মানুষের হৃদয় জিততে চাই। পেশিশক্তি দিয়ে কিছু করব না।” বিরোধী বিজেপি এবং সিপিএমকে বিড়ালছানা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।