ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কংগ্রেসের উদ্যোগে তৈরি সেচদপ্তরের বাংলোয় ঠাঁই পেলেন না খোদ রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে মালদহের ভালুকার সেচ বাংলোয় মধ্যাহ্নভোজের অনুমতি দিল না প্রশাসন। ফলে সেখান থেকে কিছুটা দূরে একটি ক্লাবের মাঠেই মধ্যাহ্নভোজ সারতে হবে কংগ্রেসের ‘যুবরাজ’কে।
বিহার হয়ে ৩১ জানুয়ারি দ্বিতীয়বার বাংলায় ঢুকছে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। বুধবার মালদহে আসবেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে থাকবেন কে সি বেণুগোপাল, জয়রাম রমেশ, অধীর চৌধুরীরা। ভালুকার সেচদপ্তরের বাংলোয় তাঁদের মধ্যাহ্ন ভোজনের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের মালদহের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় চিঠি লেখেন সেচদপ্তরের সচিবকে। এর পর বেশ কয়েকবার খোঁজ নিলেও দপ্তর থেকে জানানো হয়, এখনও অনুমতি আসেনি। এর পর সোমবার সুজাপুরের প্রাক্তন বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী ফোন করেন। কিন্তু তখনও জানানো হয়, অনুমতি মেলেনি। ইমেল করেন আবু হাসেম খান চৌধুরীও। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
[আরও পড়ুন: বিহারে পালাবদলে ঘটনার ঘনঘটা, সোমবারই নিয়োগ মামলায় ইডির জিজ্ঞাসাবাদ লালুকে]
কার্যত বাধ্য হয়ে অন্যত্র কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করতে হয়। উল্লেখ্য, মালদহের স্বনামধন্য কংগ্রেস সাংসদ গণি খান চৌধুরীর উদ্যোগেই এই সেচ বাংলো তৈরি করা হয়েছিল। অথচ সেই বাংলোতেই কিছুক্ষণ থাকা, দুপুরের খাওয়ার অনুমতি পেলেন না কংগ্রেসের যুবরাজ। কংগ্রেস সূত্রে খবর, বাংলোটিতে একসঙ্গে ২০০ জনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। হাই সিকিউরিটির ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু সেখানে কংগ্রেস নেতৃত্বের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা গেল না। যা দেখে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রাকে পদে পদে বিঘ্নিত করার চেষ্টা চলছে বাংলায়।
তবে এই যাত্রা ঘিরে উচ্ছ্বসিত বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা। এদিন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ প্রসাদ জলপাইগুড়িতে রাহুলকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ছবি উপহার দেন। তাঁকে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বার্তা”লড়তে রহো।”