নন্দন দত্ত, বোলপুর: পৌষ মেলার (Poush Mela) মতো এবার সমাবর্তন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী। কারণ, হিসেবে তুলে ধরা হল পড়ুয়াদের বিক্ষোভ। বিশ্বভারতীর সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের একাংশ।
পূর্বপল্লিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবন পূর্বিতা থেকে পঞ্চাশ মিটার দূরে ধরনা মঞ্চ তৈরি করে চলছে পড়ুয়াদের আন্দোলন। গৃহবন্দি উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্ত্তী। এই আন্দোলন চলাকালীন বিশ্বভারতীর সমাবর্তন হবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। এদিকে আগামী ১১ ডিসেম্বর, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ধনঞ্জয় যশোবন্ত চন্দ্রচূড় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। তার আগেই বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়ে জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সাময়িক পরিস্থিতির জন্য আগামী ১১ ডিসেম্বরের সমাবর্তন অনুষ্ঠান পরবর্তী দিন ঘোষণার আগে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হল।
[আরও পড়ুন: দাবিপূরণ না হওয়ায় অনশনে মেডিক্যালের ৫ পড়ুয়া, আলোচনার ডাক সুপারের]
বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উৎসব ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এক পরম প্রাপ্তির অনুষ্ঠান। স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি উত্তীর্ণদের শংসাপত্র প্রধানের উদ্দেশ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবর্তন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি দেশিকোওম ও গগন-অবন পুরস্কারও দেওয়া হয়। বিশ্বভারতী সংগীত ভবনে নৃত্য-গানের মহড়া শুরু হলেও প্রথম থেকেই অনিশ্চয়তার ঘেরাটোপে ছিল সমাবর্তন অনুষ্ঠান। বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিকালে এক বিবৃতিতে জানান, “আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের হঠকারী আচরণের কারণেই উপাচার্যকে তাঁর বাসভবনে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাস স্বাভাবিক নেই। উপাচার্য প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠান স্থগিত করা হল।”
সমাবর্তন না হলে শংসাপত্র পেতে দেরির কারণে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষা, চাকুরীর জন্য অসুবিধায় সম্মুখীন পড়তে পারেন পড়ুয়ারা। সন্মাননা প্রাপক সুমনা বিশ্বাস, পুষ্পিতা চট্টোপাধ্যায়রা দাবি করেন, অহেতুক ছাত্র আন্দোলনের কারণ দেখিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ স্থগিত করছে সমাবর্তন অনুষ্ঠান। আর শংসাপত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কর্তৃপক্ষ।