সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে রাজ্যে। কিন্তু তারপরেও জনসংযোগে ‘না’ নেই জনপ্রতিনিধিদের। নিরাপদ দূর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রান্তিক পুরুলিয়ায় দরিদ্র মানুষদের হাতে চাল, ডাল, আলু তুলে দিচ্ছেন বিধায়ক থেকে তৃণমূল নেতারা।
লকডাউনের পরই কাশীপুর বিধানসভার তৃণমূল কার্যালয়ের চারপাশে চক দিয়ে বৃত্ত এঁকেছেন এলাকার বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়া-সহ দলের কর্মীরা। তারপর সেই বৃত্তে আমজনতাকে দাঁড় করিয়ে প্যাকেটে চাল সঙ্গে সাবান ও মাস্ক দিচ্ছেন বিধায়ক। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রদান রবিবারও চলছে। বিধায়ক বলেন, “সাধারণ মানুষ আমাদের জনপ্রতিনিধি করেছেন। ফলে জনসংযোগ বন্ধ করে দেব তা হয় না। এই কঠিন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নিরাপদ দূরত্বে থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি এই যা।” রবিবার প্রায় একই ছবি দেখা গেল বাঘমুন্ডির মাদলা, পাথরডি, সিন্দরি গ্রামেও। সেখানে দরিদ্র মানুষদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্যাকেটে চাল-আলু বিলি করলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি তথা বাঘমুন্ডির পয়েন্টস অফ কনটাক্ট সুশান্ত মাহাতো।
[আরও পড়ুন: তেহট্টের করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে ট্রেনে সফর, আইসোলেশনে কাটোয়ার CRPF কনস্টেবল]
তাঁর কথায়, “এইসময় যদি মানুষের পাশে না থাকি তাহলে আর কখন থাকব! আগামী দিনগুলিতেও আমাদের কাজ এইভাবেই চলবে।” এই ধারা বজায় রয়েছে ঝালদা পুর শহরেও। ঝালদার পুরপ্রধান তথা ঝালদা শহর তৃণমূলের কার্যকারী সভাপতি প্রদীপ কর্মকারও মুখে মাস্ক নিয়ে তাঁর নিজের আট নম্বর ওয়ার্ড-সহ একাধিক ওয়ার্ডেই চাল, ডাল, আলু বিলি করছেন। একইভাবে কাজ করে চলেছন এক নম্বর ওয়ার্ডের শাসক দলের কাউন্সিলর মহেন্দ্র রুংটাও। পুরুলিয়ায় জনপ্রতিনিধিদের এখন একটাই স্লোগান ‘মানুষ মানুষের জন্য।’
ছবি: অমিত সিংদেও
[আরও পড়ুন:করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পোস্ট! সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের]
The post করোনা আবহেও জনসংযোগ, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রান্তিকদের খাদ্যসামগ্রী দিচ্ছেন বিধায়করা appeared first on Sangbad Pratidin.
