shono
Advertisement

Rampurhat Clash: ছুটিতে এসেছিলেন রামপুরহাটে, ফেরা হল না বাড়ি, অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু দম্পতির

‘দুর্গ’ ভেবে পরিচিতর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েও রেহাই পেলেন না।
Posted: 09:08 AM Mar 23, 2022Updated: 12:45 PM Mar 23, 2022

ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বগটুই (রামপুরহাট): দু’দিনের ছুটিতে স্বামীর সঙ্গে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন লিলি বিবি। সঙ্গে ছিল তাঁদের সন্তানও। কে জানত সপরিবারে আর ফেরা হবে না লিলি বিবির! পুড়ে খাক হয়ে গেল তাঁর পরিবার। 

Advertisement

রামপুরহাটের (Rampurhat Incident) বগটুইয়ের ভাদু শেখের ‘শত্রু’ বলে এলাকায় পরিচিত সোনা শেখের শ‌্যালক বানিরুলের মেয়ে লিলি। সোমবার রাতে ভাদুর খুনের পর উন্মত্ত জনতার হামলা থেকে বাঁচতে আশপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে সোনা শেখের বাড়িতে স্বামী-সন্তান নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন লিলিও। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। দরজা ভেঙে ঘর তছনছ করে দুষ্কৃতীরা যখন মুখোমুখি, তখন স্ত্রী ও সন্তানকে বাঁচাতে লিলির স্বামী আজিজ হাতজোড় করে কাতর অনুনয় পর্যন্ত করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু, ওই দুষ্কৃতীরা রেয়াত করেনি। তাদের তাণ্ডবে পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে লিলি বিবির পরিবার।

শক্তপোক্ত ঘেরাটোপে থাকা সোনা শেখের ওই বাড়িতে হামলা চালানো সম্ভব হবে না ভেবেই সেখানে আশপাশের বাড়ির সকলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। জানালায় মোটা লোহার গ্রিল, বাড়ির সামনে এবং পিছনে ঢোকা ও বেরনোর দু’টি কোলাপসিবল গেট এবং তার ভিতরে কাঠের দরজা। এত কিছু টপকে হামলা অসম্ভব ভেবে সোনার পাশের বাড়ির বাসিন্দা দুই শ্যালক মিহিলাল শেখ এবং বানিরুল শেখের পরিবার আশ্রয় নেয় ওই বাড়িতে।

[আরও পড়ুন: আগামী দিনে সব শূন্যপদ পূরণ করবে রাজ্য, দ্রুত শুরু শিক্ষক নিয়োগ, বিধানসভায় আশ্বাস ব্রাত্যর]

সোমবার রাতে ভাদু খুন হওয়ার খবর গ্রামে আসতেই শুরু হয় বোমাবাজি। রাত এগারোটা নাগাদ যাদের বিরুদ্ধে ভাদুকে মারার অভিযোগ ওঠে, তাদের বাড়ি একের পর এক আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। গ্রামবাসী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, সোনার বাড়িতে ছিলেন ন’জন। সোনার স্ত্রী রূপালি বিবি, তার শ্যালক মিহিলাল শেখ, তাঁর স্ত্রী শেলি বিবি, মেয়ে তুলি খাতুন ছাড়াও ছিলেন বানিরুল শেখের স্ত্রী ডলি বিবি ও বানিরুলের মেয়ে লিলি বিবির পরিবার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, দুষ্কৃতীরা পিছনের গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকে। ঘরে কেরোসিন এবং পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে বোমাবাজি। ঘটনার পর থেকে ওই ন’জনের অনেককেই আর কেউ দেখেননি। 

হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন নাজিমা বিবি। এলাকায় দোকান আছে তাঁর। বলেন, “ঘরের দরজায় তালা দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। প্রথমে বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। পরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কীভাবে বেঁচে গিয়েছি জানি না।” সন্ধ‌্যায় বাক্স-প্যাঁটরা গুছিয়ে ভাদু শেখের পরিবারকে গ্রাম ছেড়ে রামপুরহাটে চলে যেতে দেখা যায়। চেনা তল্লাটও আর নিরাপদ নয় যে!

[আরও পড়ুন: ‘নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, ভয়ে ভয়ে থাকতে চাই না’, গ্রাম ছাড়ল ভাদু শেখের পরিবার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার