নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। বিয়েতেও রাজি ছিল না। সেই শোকে একসঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন যুগল (Couple)। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি থানার মধুপুর গ্রামে কাছে। মৃত যুবকের নাম আবদুল্লা মামুন ওরফে স্বপন। তার বাড়ি নলহাটি থানার খাঁপুর গ্রামে। আর যুবতী নারজিনা বিবির বাড়ি পাশের মধুপুর গ্রামে। আজ সকালে মধুপুর গ্রামের কিছুটা দুরে একটি পুকুর পাড়ের গাছ থেকে তাঁদের দু’জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
সাতসকালে গ্রামবাসীরা দু’টি দেহ ঝুলন্ত (Hanging Deadbody) অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। নলহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আবদুল্লা ও নারজিনা একে অপরকে ভালোবাসত। আবদুল্লা নারজিনাকে বিয়ে করতে চাইলেও তার পরিবার মানতে চায়নি। পরিবারকে বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিছুতেই তাঁরা নারজিনাকে মানবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: শিক্ষকদের নির্যাতনে ‘আত্মঘাতী’ ছাত্রী, প্রতিবাদে স্কুলে হামলা, গ্রেপ্তার দুই]
এরপর রবিবার আবদুল্লা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ওদিকে নারজিনাও বেরন। তাঁরা কেউই আর রাতে বাড়ি ফেরেননি। তাতেই অনুমান, প্রেমের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার পথে তাঁদের পরিবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল বলেই অভিমানে দু’জনে একসঙ্গে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন আবদুল্লা-নারজিনা। আবদুল্লা-নাজরিন হয়ত মনে করেছিলেন, মিলন না হোক, মৃত্যুর ওপারে যেন একে অপরের হাত ধরেই থাকতে পারেন। আর সেই কারণেই তাঁদের আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত। আজ সকালে গ্রামবাসীরা তাঁদের দু’জনের ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। তবে তাঁদের এই মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত গ্রামবাসীরা। পরিবারও ভেঙে পড়েছে কান্নায়।