জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: গরুপাচারে বাধা। বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু পাচারকারীর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁর বাঁশঘাটা সীমান্ত এলাকায়। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। মৃতের সঙ্গীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও বাংলাদেশ সূত্রে খবর মৃত ব্যক্তি পাচারকারী নন। তিনি বিজিবি জওয়ান।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে বনগাঁ বাঁশঘাটা সীমান্ত হয়ে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল পাচারকারীদের একটি দল। সেই সময় সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। উলটে পাচারকারীরা জওয়ানদের আক্রমণের চেষ্টা করে বলেই দাবি। এর পরই আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালান জওয়ানরা। গুলিবিদ্ধ হয় এক পাচারকারী।
[আরও পডু়ন: ‘ভেবেচিন্তে কথা বলুন…’, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনই কেন এমন কথা মিঠুনের মুখে?]
এর পর তাকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম, পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই যুবক ভারতের নাগরিক নাকি বাংলাদেশের তাও এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় বনগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। যদিও বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে, এক বিজিবি জওয়ান দলের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। ঘটনাটক্রে তিনি ভারতীয় জওয়ানদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হন। বনগাঁ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই মৃত ব্যক্তি জওয়ান নাকি পাচারকারী তা এখনও স্পষ্ট নয়।