shono
Advertisement

খুন সিপিএম কর্মী, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পরই সৎকারের সিদ্ধান্ত পরিবারের

ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের মন্তব্য ঘিরে শুরু জল্পনা। The post খুন সিপিএম কর্মী, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পরই সৎকারের সিদ্ধান্ত পরিবারের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 03:48 PM May 06, 2019Updated: 08:06 PM May 06, 2019

সৌরভ মাজি, বর্ধমান সদর:  আগামী ১২ মে বিষ্ণুপুর লোকসভা আসনে নির্বাচন। তাঁর আগে  সিপিএম কর্মীর খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল খণ্ডঘোষ এলাকায়। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছে ওই সিপিএম কর্মীর। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত দেহ সৎকার করা হবে না। এই দাবিতেই অনড় মৃতের পরিবারের সদস্যরা৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘দুর্যোগ নিয়ে দিদি রাজনীতি করছেন’, ফণী নিয়ে মমতাকে আক্রমণ মোদির]

পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের আলিপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুল শেখ। বরাবরই সিপিএম কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধেয় নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন কামরুলের দাদা। অভিযোগ, সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তাঁর উপর চড়াও হয়। বেধড়ক মারধর করে তাঁকে। বিষয়টি জানতে পেরে কামরুল দাদাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করে অভিযুক্তরা।  তাঁদের দু’জনকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন আরও তিনজন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কামরুলকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় কামরুলের। 

মৃতের দাদার অভিযোগ, “দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল সমর্থকরা স্থানীয় বাম সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিল। সেসব উপেক্ষা করে মঙ্গলবার সিপিএমের তরফে সভারও আয়োজন করা হয়। সভা রুখতে, এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে সিপিএম কর্মী কামরুল শেখের উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।” 

[আরও পড়ুন: আঙুলে কালি ছাড়াই ভোট, কারচুপির অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারের ভূমিকায় প্রশ্ন]

এ প্রসঙ্গে খণ্ডঘোষের বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ জানান, “রবিবার দুপুরে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা স্থানীয়দের বোঝাচ্ছিলেন কীভাবে ইভিএমে ভোট দিতে হবে। অভিযোগ, সেই কথা শুনতে চায়নি কামরুল। এই নিয়ে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বচসা হয় কামরুলের।” এরপর,  কামরুলকে স্থানীয় তৃণমূল কার্যালয়ে নিয়ে তাঁকে ধমক দেওয়া হয়। একথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, এদিন রাতেই সন্ধের ঘটনার পালটা হিসেবে টুটুল নামে এক তৃণমূল কর্মীর উপর চড়াও হন কামরুল। এরপরই দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।   

[আরও পড়ুন: বুথের মধ্যে প্রক্সি ভোটের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল যুব নেতা]

তবে, এই সংঘর্ষের ঘটনায় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রুবি বেগমের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা। তিনি জানান, কামরুল তৃণমূলের কর্মী। আর এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সূত্রের খবর,  তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, দোষীদের গ্রেপ্তার না করা হলে দেহ সৎকার করবেন না তাঁরা। 

The post খুন সিপিএম কর্মী, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির পরই সৎকারের সিদ্ধান্ত পরিবারের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement