সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপের লোকালয়ে কুমির আতঙ্ক! সোমবার রাতে প্রায় কয়েকঘণ্টা লুকোচুরির পর বনদপ্তরের পাতা ফাঁদে ধারা পড়ে কুমিরটি। ঘটনায় পর্যটক ও স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। ঘটনাস্থলে যায় ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশ।

বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক ধরেই লোকালয়ে একটি পুকুরে কুমিরটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখেন বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায়। বিষয়টি জানানো হয় বনদপ্তরকে। বনকর্মীরা উপস্থিত হন ঘটনাস্থলে। কিন্তু ততক্ষণে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে সেখান থেকে পিঠটান দিয়েছে কুমিরটি। ধারে কাছে থাকা এ পুকুর-সে পুকুরজুড়ে তল্লাশি শুরু করে বনদপ্তরের কর্মীরা। বিস্তর খোঁজাখুজির পর তার খোঁজ মেলেনি।
সোমবার রাতে দেখা যায় কুমিরটি স্থান পরিবর্তন করে মানিক দাস নামে অন্য এক ব্যক্তির পুকুরে চলে যায়। সোমবার রাতে স্থানীয়দের নজরে পড়ে কুমিরটি। বনকর্মীদের খবর দেওয়ার পর ওই পুকুরজুড়ে তল্লাশি শুরু হয়। ফেলা হয় টানা জাল। শেষ পর্যন্ত সোমবার রাতেই কুমিরটিকে জালে বন্দি করা হয়। রাতেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বকখালি বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসে। পরে চিকিৎসার পর কুমিরটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থাতেই নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে খবর। কয়েকদিন আগেই পাথরপ্রতিমায় লোকালয়ের একটি পুকুর থেকে ধরা পড়ে বড়সড় একটি পুরুষ কুমির। বারবার কুমির লোকালয়ে চলে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।