ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা-ওড়িশা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকালের মধ্যেই ল্যান্ডফল। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। বাংলার উপকূলীয় এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা মারাত্মক। বিপদ এড়াতে ইতিমধ্যে প্রস্তুত প্রশাসন।
রাত ১২.০০: ওড়িশায় সাড়ে ৩ লক্ষ ও বাংলায় প্রায় ২ লক্ষ ৪০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে।
রাত ১১.৪০: পারাদ্বীপ থেকে মাত্র ৫০ কিমি দূরে রয়েছে ডানা। রাজ্যের সাগরদ্বীপ থেকে ১৭০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়টি।
রাত ১০.২০: ঘূর্ণিঝড় ডানার কারণে সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় শুক্রবার বন্ধ থাকছে কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার হবে সমস্ত শুনানি।
রাত ১০.০০: দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল তীরবর্তী এলাকার কয়েক হাজার মানুষকে ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ প্রায় শেষ। নদী বাঁধের অবস্থা খতিয়ে দেখতে নামখানায় পৌঁছলেন জেলাশাসক। সঙ্গে সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকেরা।
রাত ৯.০১: ডানার আশঙ্কায় বন্ধ ট্রেন পরিষেবা। আতঙ্কে ঘরবন্দি আমজনতা। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর কোর্সের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে আসা বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে সমস্যায় পড়েন। অনেকেই সেন্টারে ঠিক সময়ে পৌঁছতে পারেনি। সেই কারণে পরীক্ষাসূচি পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে ডেপুটেশন দিল AIDSO ।
সন্ধ্যে ৮.২৬: রাতভর কলকাতা পুরসভায় থাকবেন ফিরহাদ হাকিম। বিদ্যুৎভবনে থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
সন্ধ্যে ৬.৫৫: কলকাতার বুকেও শুরু বৃষ্টি। নবান্নে বসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে খোদ মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ-সহ অন্যান্যরা।
সন্ধ্যে ৬.৪০: ধামরা থেকে ১৮০ কিমি দূরে ঘূর্ণিঝড় ডানা।
বিকেল ৫.২০: প্রতিদিনের মতোই বৃহস্পতি ও শুক্রবারও স্বাভাবিক থাকবে মেট্রো পরিষেবা, জানাল কর্তৃপক্ষ।
বিকেল ৫.০১: নবান্নের কন্ট্রোলরুম থেকে চলছে নজরদারি।
ছবি: অরিজিৎ সাহা।
বিকেল ৪.১১: রাজ্যের তরফে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রত্যককে সতর্ক থাকার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, ‘কেউ প্যানিক করবেন না। সতর্ক থাকবেন। এটা জীবন বাঁচানোর লড়াই।’
বিকেল ৪.১০: রাতভর নবান্নে থাকবেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী।
বিকেল ৪.০১: ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৩৭ জনকে সরানো হয়েছে। রিলিফ ক্যাম্পে রয়েছেন ৮৩ হাজার ৫৮২ জন। জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে নবান্নেই থাকবেন বলে জানালেন তিনি।
বেলা ৩.৪৯: ঝড় নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেলা ৩.৪০: 'ডানা' নিয়ে সতর্কবার্তা জারি করল আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আঞ্চলিক অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানান, 'ডানা’র দাপটে ভেঙে পড়তে পারে গাছ এবং শুকনো ডাল। কুঁড়েঘর, টালির চাল প্রভৃতি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রাস্তা। ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হবে অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা।
বেলা ৩.৩১: ডানার দাপট সামলে দুর্গতদের সাহায্যে আলাদা করে প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনী। অন্ধ্র, ওড়িশা, বাংলার সঙ্গে সমন্বয় করে বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি বিশেষ টিম, নেতৃত্বে নৌবাহিনী অফিসার-ইনচার্জরা। মজুত রাখা হচ্ছে খাদ্য, পানীয় জল, ওষুধ ও যাবতীয় প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
বেলা ৩.০০: লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এলাকাজুড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় ১২-১৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গঙ্গাসাগরের মন্দিরতলা এলাকা বেহাল নদী বাঁধ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
দুপুর ২.৩৬: দিঘায় প্রবল জলোচ্ছ্বাস। বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
দুপুপ ২.২০: কলকাতা বিমানবন্দরে সাময়িক বন্ধ বিমান পরিষেবা। ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরেও ওঠানামা বন্ধ বিমানের।
দুপুর ২.০৫: আজ, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে হবে ৪.০৪ মিটার (১৩.২৫ ফুট)। গঙ্গার লকগেটগুলি দুপুর সাড়ে তিনটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ প্রসঙ্গে মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং জানালেন, সে সময় প্রচুর বৃষ্টি হলে কলকাতা ডুববে। শুধু আজ নয়, শুক্রবার সকাল পৌনে ছটা নাগাদ জোয়ারের ফলে গঙ্গার জলস্তর হবে ৪.২৪ মিটার (১৩.৯১ ফুট) । তাই লকগেটগুলি ভোর সাড়ে চারটে থেকে সকাল নটা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
পুরসভার কন্ট্রোল রুম পরিদর্শনে তারক সিং। নিজস্ব চিত্র।
দুপুর ১.৩৭: 'ডানা'র সর্তকতায় পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে মাইকিং শুরু ব্লক প্রশাসনের।
ছবি: অমিতলাল সিংদেও।
দুপুর ১.১৯: বেলা বাড়তেই বাড়ছে হাওয়ার গতিবেগ।
বেলা ১২.০০: আসানসোলে শুরু হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। কালী প্রতিমা গড়ার কাজ বন্ধ রেখে প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলতে হচ্ছে মূর্তিকে। এরকম বৃষ্টিপাত হলে পুজো উদ্যোক্তাদের মূর্তি কীভাবে হস্তান্তর করবেন সেই বিষয়ে চিন্তিত আসানসোলের মহিষিলা পাল পাড়ার শিল্পীরা।
সকাল ১১.৪৭: ধামরা সৈকতে চলছে মাইকিং। সমুদ্র অঞ্চল থেকে সকলকে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
সকাল ১১.০০: ২৪ ও ২৫ তারিখ মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বন্ধ থাকবে ফেরি পরিষেবাও।
সকাল ১০.৪৫: আপাতত 'ডানা'টি পারাদ্বীপ থেকে ২৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। ধামরা বন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিক এবং সাগরদ্বীপ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে সেটি।।
সকাল ১০.৩০: নদিয়া জেলার কল্যাণী চাকদহ সহ হরিণঘাটায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। চাকদহ ব্লকের গৌরনগর গঙ্গার ঘাট, কল্যাণী ব্লকের তারিনীপুর গঙ্গার ঘাট, সান্যাল চর গঙ্গার ঘাট, চরসরাটি গঙ্গার ঘাট, মাঝেরচর গঙ্গার চর, কাঁচরাপাড়া গঙ্গার ঘাটগুলোতে খেয়া পারাপারের নিষেধাজ্ঞার নোটিশ ঝুলিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
সকাল ১০.০০: ঘূর্ণিঝড়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিঘায় পর্যটকের ভিড়। সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে সেলফিতে মজে আট থেকে আশি।
দিঘার পারে পর্যটকের ভিড়। ছবি: পিটিআই।
সকাল ৯.৩০: ওড়িশায় শুরু দুর্যোগ। ধামরা, ভদ্রক এলাকা থেকে সাধারণ মানুষকে সরানো হচ্ছে।
সকাল ৯.০০: ঝড়ের বিপদ এড়াতে চালু হয়েছে একাধিক হেল্পলাইন। এক নজরে হেল্পলাইন
কলকাতা পুরসভা- ২২৮-৬১২১২, ২২৮-৬১৩১৩, ২২৮-৬১৪১৪
হাওড়া পুরসভা-৬২৯২২৩২৮৭০
কলকাতা পুলিশ-৯৪৩২৬১০৪৫৫
শিয়ালদহ স্টেশন-২৩৫১৬৯৬৭
হাওড়া স্টেশন-২৬৪১৩৬৬০
ডব্লুবিএসইডিসিএল-৮৯০০৭৯৩৫০৩, ৮৯০০৭৯৩৫০৪, টোল ফ্রি: ১৯২২১
হোয়াটসঅ্যাপ-৮৪৩৩৭১৯১২১
সিইএসসি-৩৫০১১৯১২, ৪৪০৩১৯১২, হোয়াটসঅ্যাপ-৭৪৩৯০০১৯১২, বিশেষ হেল্পলাইন-৯৮৩১০৭৯৬৬৬
নবান্ন কন্ট্রোল রুম-২২১৪৩৫২৬, টোল ফ্রি: ১০৭০
সকাল ৮.৩০: উপকূলীয় দক্ষিণবঙ্গে বন্ধ ফেরি চলাচলও।
সকাল ৮.২০: বিপদ এড়াতে শিয়ালদহ ডিভিশন প্রায় সমস্ত শাখায় বৃহস্পতিবার রাত আটটা থেকে পরদিন সকাল দশটা পর্যন্ত বন্ধ পরিষেবা। বাদ যায়নি হাওড়া ডিভিশনও। মোট ৬৮টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে পূর্ব রেল। হাওড়া, শালিমার, সাঁতরাগাছি থেকে ৮৫টি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ডাউনেও যে ট্রেনগুলি আসবে তার মধ্যেও বাতিল ৯৩টি ট্রেন।
সকাল ৮.১০: উপকূলীয় এলাকা থেকে সরানো হয়েছে বাসিন্দাদের। ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে প্রায় ৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে পাঠানো হয়েছে। সাগর দ্বীপ থেকেও ১০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে।
সকাল ৮.০০: বুধবার রাত থেকেই দফায়-দফায় বৃষ্টি। কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় সকাল থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু। উপকূলীয় এলাকায় দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইছে।