সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: "আমি নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি।" ফের জোরালো মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গত বেশ কয়েক দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। আজ বুধবার সকালে তাঁকে দেখা গেল নদিয়ার কৃষ্ণনগরে।

এদিন সকালেই দিলীপ ঘোষ বেরিয়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণনগরে। সদর হাসপাতাল মোড় থেকে শুরু হয় চায়ে পে চর্চা কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন জেলার একাধিক বিজেপি কর্মী। চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন। গতকাল বর্ধমানের কাটোয়ায় অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মেলায় গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। পুজো দেওয়ার পর মেলা থেকে একটি ধারালো দা কিনেছিলেন। বলেন, "দা-এর অনেক কাজ আছে। এক দা-এ অনেক কাজ হয়ে যাবে।" সেই বক্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে চর্চাও শুরু হয়েছে।
বিজেপির রাজ্য রাজনীতিতে কি ফের স্বমহিমায় ফিরছেন দিলীপ ঘোষ? সেই প্রশ্ন উঠছে। এদিন প্রাক্তন সাংসদ বলেন, "দিলীপ ঘোষের পাশে কাউকে দরকার নেই। দিলীপ একাই আছে। পার্টির কর্মীরা আছে।" তিনি পালটা প্রশ্ন করেন, "দিলীপ ঘোষকে কে কোণঠাসা করবে?" দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির কোন্দল প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে। বিজেপির নেতাকে কালি লাগানোর ঘটনায় জোর চর্চা চলছে। এবার সাংগঠনিক সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্যের নামে পোস্টার দেখা গিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার একাধিক এলাকায়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "পোস্টার রাজনীতি বিজেপি করে না। কারও যদি কারও বিরুদ্ধে সমস্যা থাকে, কথা বলা উচিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে। রাজনীতিতে সব হয়। তবে বিজেপির রাজনীতিতে গুলি-বোমা চলে না।"
ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর গতকাল দিলীপ ঘোষকে সমর্থন করেছেন। সেই বিষয়ে এদিন দিলীপ বলেন, "আমাকে কে কীভাবে সমর্থন করল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি নিজের ক্ষমতায় রাজনীতি করি এবং কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করি। হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব সম্পর্ক ছিল, এখনও রয়েছে। তাই সে আমাকে সমর্থন করল নাকি শত্রুতা করল। তাতে আমার কিছু যায় আসে না।" মহাকুম্ভ ভারতের দিশা পালটে দিয়েছে। এমনই দাবি করলেন দিলীপ।