অর্ণব দাস, বারাসত: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে নানাবিধ অভিযোগ থাকলেও নজির গড়ল বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বনগাঁর ছ’মাসের শিশুকন্যা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মলদ্বার থেকে অঝোরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অতি সংকটজনক ওই শিশুকে তিনদিনের চিকিৎসায় সুস্থ করে বাড়ি পাঠালেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁর গোপালনগর থানার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা নীলিমা শিকদারের মেয়ের বয়স মাত্র ছ’মাস কুড়ি দিন। গত বুধবার সে জ্বরে আক্রান্ত হয়। তার রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। এরপরই একরত্তির মলদ্বার থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রক্তচাপ এবং প্লেটলেটও একবারে কমে গিয়েছিল। একইসঙ্গে তার পেটও ফুলে যাচ্ছিল। রবিবার প্রথমে তাকে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থার আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে তাকে বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। সেখানেই শিশুকে মাত্র ৭২ ঘণ্টার চিকিৎসায় সুস্থ করে বাড়ি পাঠাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলার মানুষ, বাড়ি বাংলায়, দিল্লি যাব কেন?’, মামলা স্থানান্তর নিয়ে বিচারককে প্রশ্ন অনুব্রতর]
হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার শিশুর মা নীলিমা শিকদার বলেন, “মেয়েকে সুস্থ করতে আমাদের খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমার স্বামীর ছোট মুদিখানার দোকান। মেয়েকে কোনও নামি নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানোর মতো আমাদের ক্ষমতা ছিল না। বারাসত হাসপাতালে ভরতি করানোর পরেরদিন থেকেই মেয়ে একটু একটু করে সুস্থ হতে শুরু করে। তিনদিনের মধ্যেই মেয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।” হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, “ছ’মাসের ওই শিশুটিকে সুস্থ করে বাড়ি ফেরানোই ছিল আমাদের চ্যালেঞ্জের। টিম তৈরি করে তাকে সুস্থ করা হয়েছে। ফুটফুটে বাচ্চাকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফেরাতে পেরে আমরা খুশি।”
দেখুন ভিডিও:
