সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর মুখে দক্ষিণবঙ্গে তৈরি হয় বন্যা পরিস্থিতি। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র(Cyclone Dana) চোখ রাঙানি। কৃষিক্ষেত্রে পড়তে পারে তার প্রভাব। তার ফলে দীপাবলি এবং ভাইফোঁটার আগেই ফের বাড়তে পারে সবজির দাম।
লক্ষ্মীপুজোর সময় থেকেই বাজার চড়া। সেই সময় বেগুন বিকিয়েছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজিতে, পটল ৮০, কাঁচালঙ্কা ২০০-২৫০, টম্যাটো ১০০-১২০, বিনস ১০০ টাকায়। ফুলকপি, বাঁধাকপি এদিন বিকিয়েছে ৫০-৭০ টাকা প্রতি পিসে। এছাড়া চন্দ্রমুখী আলুর দাম ছিল ৩৬ টাকা কেজি। জ্যোতি ৩০-৩২ টাকা। ফলের বাজারও ছিল বেশ চড়া। আপেল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজিতে ২০০ টাকায়, বেদানা ২৫০-৩০০, নাশপাতি ১৫০-২০০, পেয়ারা ও শশা ৬০-৮০। শাঁখ আলু ১০০ টাকা, পানিফল ৬০-৮০, বাতাবি লেবু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে। প্রতি পিস নারকেলের দাম ৫০-৬০ টাকা, আনারসের ১০০ টাকা। বড় আকারের আখের দাম ২০-২৫ টাকা, কাঁঠালি কলা ৬০-১০০ টাকা ডজন। ধানের শিষ ১০-২০ টাকা পিস। শিস ডাব ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
সবজির জোগান বাড়িয়ে, দাম কমিয়ে পুজোর আগে থেকেই রাজ্যবাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছে নবান্ন। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে চাষে তার প্রভাব পড়ে। বেশিরভাগ জায়গায় জলের তলায় চলে যায় চাষের জমি। তার ফলে স্বাভাবিকভাবে বাজারে সবজি ও ফলের জোগান কমে যায়। তার ফলে বেড়েছে দাম। বন্যা পরিস্থিতির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফের ঘূর্ণিঝড় 'ডানা'র দাপট। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর। সেক্ষেত্রে আবার জলের তলায় চলে যেতে পারে চাষের জমি। ফের দাম বাড়তে পারে সবজির। উৎসবের মরশুমে বাজারে গিয়ে ছ্যাঁকা খেতে পারেন আমগেরস্থ।