সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কর্মরত অবস্থায় যদি কোনও সরকারি কর্মচারী মারা যান, তাহলে তাঁর সন্তানরা চাকরি পান। নিঃসন্তান দম্পতির ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীকে চাকরি দেয় সরকার। আর এই সরকারি নিয়মের জন্য খুন হয়ে গেলেন এক ব্যক্তি। অভিযোগ, চাকরির লোভে বাবাকে খুন করেছে ছেলেই! মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। গুণধর ছেলেকেল আটক করেছে পুলিশ।
[জটিল রোগে ভুগছে ছেলে, সাহায্যের আশায় সাইকেলে জেলা চষছেন বাবা]
মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় কুমার। সরকারি কোলিয়ারি সংস্থা ইসিএল-এ চাকরি করতেন তিনি। বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের কুমারডিহি এলাকায় সরকারি আবাসনে সপরিবারে থাকতেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। তাঁর একমাত্র ছেলে মুকেশ বেকার। চলতি মাসেই সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার কথা ছিল ওই প্রৌঢ়ের। ইসিএলের কোলিয়ারির কাছেই সরকারি আবাসন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন কোলিয়ারি থেকে একাই বাড়ি ফিরতেন মৃত্যুঞ্জয়। বুধবার বাবাকে কোলিয়ারি থেকে বাড়ি আনতে মোটরবাইক নিয়ে গিয়েছিলেন মুকেশ। ছেলের বাইকে চেপে ঘুরপথে বাড়ি ফিরছিলেন মৃত্যুঞ্জয়বাবু। মুকেশের দাবি, মাঝ রাস্তায় বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মুকেশই বাড়িতে ফোন করে বাবার মৃত্যুসংবাদ দেয়। যদিও বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয় কুমার মারা গিয়েছেন, একথা মানতে রাজি নন প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি চাকরির লোভে বাবাকে খুন করেছে মুকেশ। ঘটনার পর, তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
[মসুলে নিহত তেহট্টের খোকন শিকদারের মেয়েকে চাকরির আশ্বাস রাজ্যের]
কোলিয়ারি থেকে থেকে সরকারি আবাসনের দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাহলে ঘটনার দিনে বাবাকে নিয়ে কেন ঘুরপথে ফিরছিলেন মুকেশ? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে, এই ঘটনায় রীতিমতো হতবাক ইসিএল আধিকারিকরা। সরকারি চাকরির লোভে কেউ নিজের বাবা খুন করতে পারে, এটা ভাবতেই পারছেন না তাঁরা।
[নজির গড়ল রেল, ১২ হাজার অশ্বশক্তির নয়া ইঞ্জিনের ট্রায়াল শুরু]
The post সরকারি চাকরির লোভে বাবাকেই খুন যুবকের appeared first on Sangbad Pratidin.
