কৃষ্ণকুমার দাস: যাঁদের রেশন কার্ড নেই রাজ্যের সেই সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য এবার ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) শিবিরে বিশেষ সুবিধা দিতে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া শিবিরে এসে কেউ খাদ্যসাথী কাউন্টারে গিয়ে ৪ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গেই তিনি পেয়ে যাবেন ‘ই-রেশন কার্ড’ (E Ration Card)। আবেদকারীর যদি আরকেএসওয়াই-১ ও আরকেএসওয়াই-২ শ্রেণির কার্ড হয় তবে পরের সপ্তাহ থেকেই রেশন পেতে শুরু করবেন।
দু’দিন পর থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে ‘অনস্পট ই-রেশন কার্ড’ দেওয়ার কথা শনিবার জানিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাঁর কথায়,‘‘নানা কাজে ব্যস্ত থাকায় বহু মানুষ খাদ্যদপ্তর অফিসে এসে ফর্ম ও প্রয়োজনীয় নথি জমা দিয়ে রেশন কার্ড করাতে পারেননি। তাঁদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ সুবিধা করে দিলেন। দুয়ারে সরকারে এসেই ৪ নম্বর ফর্ম ও সংশ্লিষ্ট নথিগুলি জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ই-মেলে বা ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে ই-রেশন কার্ড চলে যাবে।’’
[আরও পড়ুন: সুকান্তর মুখে ফের ‘ডিসেম্বর’ প্রসঙ্গ, পালটা ‘সার্কাস পার্টি’ বলে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের]
এমনিতেই রাজ্যবাসীকে ডিজিটাল রেশন কার্ড ও তার সঙ্গে আধার লিংকের কাজ অনেকটাই সম্পূর্ণ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার যাদের কার্ড হয়নি সেই সমস্ত শিশু থেকে বয়স্ক, সবাইকে ‘অনস্পট রেশন কার্ড’ দিতে দুয়ারে সরকারকে বেছে নিয়েছে রাজ্য সরকার। নয়া পরিষেবার কথা জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, ‘‘প্রতিটি শিবিরেই খাদ্যসাথী কাউন্টারে ফুড ইনস্পেক্টর থেকে শুরু করে দক্ষ কর্মীরা থাকবেন। ফর্ম জমা দিলেই অনলাইনে আপলোড হবে। যাঁদের সমস্ত নথি আপটুডেট থাকবে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গেই ই-রেশন কার্ড দিয়ে দেওয়া হবে।’’
ফর্মের সঙ্গে পরিবারের অন্য একজনের রেশন ও আধার কার্ডের জেরক্স, ৫ বছরের নিচের জন্মসার্টিফিকেট এবং অবশ্যই মোবাইল নম্বর দিতে হবে। অন্ত্যোদয় বা এনএফএস কার্ড আছে এমন পরিবারের কোনও শিশুর যদি কার্ড হয় তবে প্রথমে তাকে আরকেএসওয়াই-১ সুবিধা দেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘ওই শিশুটির নয়া কার্ডটি অন্ত্যোদয়ে অগ্রাধিকার থাকবে।’’ যেহেতু কেন্দ্রের নিয়মে অন্ত্যোদয় সংখ্যা নির্দিষ্ট, তাই পরবর্তী শূন্যতার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলে খাদ্যদফতরের দাবি। ডিলার পরিবর্তন বা ডিজিটাল রেশন কার্ডের হারিয়ে ফেললেও ডুপ্লিকেটের জন্য ৫ ও ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে হবে।
অন্যদিকে, দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে ডেঙ্গু সচেতনতা প্রচারও চালানো হবে বলে জানিয়ে দিল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিবের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে গেলে আগে মশার আঁতুড়ঘর নষ্ট করতে হবে। সেই জন্যই দুয়ারে সরকার কর্মসূচিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে। এলাকায় যেন জল জমে না থাকে, জ্বর হলে যেন সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয়-সমস্ত বিষয়েই সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচার চালানো হবে।