সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ৯২ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়ে গিয়েছে। ডিজিটাইজ করা বাকি আর প্রায় সাড়ে ৪৯ লক্ষ ফর্ম। রিপোর্ট দিয়ে এ কথা জানাল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশনে সবচেয়ে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানকার অধিকাংশ বিধানসভা কেন্দ্রে ৯৫-৯৭ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ করা গিয়েছে। ডিজিটাইজেশনে সবচেয়ে পিছিয়ে কলকাতার অধিকাংশ বিধানসভা কেন্দ্রই।
কমিশন বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যে মোট ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭ কোটি ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৮২৪ ভোটারের জমা দেওয়া এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ, ফর্ম ডিজিটাইজেশন হয়েছে ৯১.৭৫ শতাংশ। আর ডিজিটাইজেশন হওয়া বাকি ৬.৪৬ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলি, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়া, এই পাঁচ জেলায় এনুমারেশন ফর্ম ডিজিটাইজেশন হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ৯৫ শতাংশের বেশি। সবচেয়ে বেশি বাঁকুড়ার কোতুলপুর কেন্দ্রে (৯৭.৭৯ শতাংশ), ইন্দাস (৯৭.১৩ শতাংশ)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্র নন্দীগ্রামে (পূর্ব মেদিনীপুরের অন্তর্গত) এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯৬ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়ে গিয়েছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার কেন্দ্রগুলিতেও ফর্ম ডিজিটাইজেশনের হার সন্তোষজনক।
সবচেয়ে কম উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা, হাওড়া শহর এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে। রাজ্যের যে ১০ কেন্দ্রে ফর্ম ডিজিটাইজেশন সবচেয়ে কম হয়েছে, তার মধ্যে আট কেন্দ্রই কলকাতার। সেই তালিকায় ভবানীপুরও রয়েছে। ঘটনাচক্রে, ভবানীপুর কেন্দ্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে ৭৬.৩৬ শতাংশ ফর্ম ডিজিটাইজ করা হয়েছে। এই তালিকায় কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ (ববি) হাকিমের কেন্দ্র কলকাতা বন্দরও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর থেকে রাজ্যে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর (SIR in Bengal) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে রাজ্যে। এনুমারেশন ফর্মের তথ্য কমিশনের পোর্টালে আপলোড করার শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে আগামী বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি।
