বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: কুমানি থেকে কালিম্পংয়ের গৈরিবাস যাওয়ার পথে আচমকা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এল দাঁতাল হাতি। জিপ থেকে নেমে পড়িমরি দৌড় যাত্রীদের। প্রাণ বাচাতে 'হে মহাকাল তুমি রক্ষা কর' আর্তি তাঁদের। এদিকে যাত্রীরা নেমে যেতে চালক ব্যাক গিয়ার দিলেন। উল্টো ছুটল গাড়ি। এদিকে ওই বিশাল দাঁতালও তাড়া করেছে গাড়ি, পর্যটক যাত্রীদের। বুধবার এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়।
কালিম্পং থেকে গৈরিবাস যাওয়ার সরাসরি নির্দিষ্ট কোনও রাস্তা নেই। সাধারণত কালিম্পং থেকে কুমানি হয়ে গৈরিবাসে ছোট গাড়ি চলাচল করে। চাপড়ামারি জঙ্গলের পেট চিরে যাওয়া ময়ালের মতো আঁকাবাঁকা এই পথ যেমন সবুজে ভরা, তেমনই বিপজ্জনক। এই পথে যাতায়াতের সময় হাতি পথ আটকে দাঁড়ানোর ঘটনা আকছার ঘটে থাকে। যেমন, বুধবার সকালে হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জনা সাতেক যাত্রী এবং মালপত্র নিয়ে জিপ রওনা দেয় গৌরিবাসের উদ্দেশ্যে। কালিম্পং থেকে কুমানি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে বিশেষ সমস্যা হয়নি যাত্রীদের। কুমানি থেকে গৈরিবাসের দূরত্ব প্রায় আরও প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কুমানি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অতিক্রম করতে বিরাট দাঁতাল সড়কপথ আটকে দাঁড়ায়।
গাড়ি ফেলে পিছনে ছুটছেন যাত্রীরা।
জিপের চালক ও যাত্রীরা মনে করেছিলেন, হর্ন শুনে হাতিটি সড়ক থেকে নেমে জঙ্গলের পথ ধরবে। কিন্তু হয় উলটো। গাড়ির দিকেই গজরাজ এগিয়ে আসতে শুরু করে। সেটা দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। গাড়ির দরজা খুলে যাত্রীরা ঝাঁপিয়ে নীচে নেমে পড়িমরি দৌড়তে শুরু করেন। মহা ফাঁপড়ে পড়েন জিপ চালক রাজু তামাং। আতঙ্কে জিপের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে হাতিটিও দ্রুত গাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে সেসময়। বেগতিক পরিস্থিতি দেখে কয়েকজন যাত্রী জিপ ঠেলে পেছনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেসময় গাড়ির ইঞ্জিন সচল হয়ে যায়। এরপরই নিরাপদ দূরত্বে গাড়িটিকে পিছিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে ওই গাড়ির চালক রাজু বলেন, "কালিম্পং থেকে গৈরিবাস রুটে হাতি থাকেই। কিন্তু আজকে যেভাবে তেড়ে আসছিল দেখে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।"
