সংবাদ প্রতিদিন, ডিজিটাল ডেস্ক: বারুইপুর আদালতের বাইরে তখন থিকথিকে ভিড়। পুলিশ ভ্যান থেকে নামিয়ে আদালতের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় মুস্তাকিন সর্দারকে। শুক্রবার আদালত জয়নগর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে তাকে ফাঁসির সাজা শোনায়। নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনালেন এদিন বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। ফাঁসির সাজা শোনার পরেও নির্লিপ্ত দোষী মুস্তাকিন। আদালতের ভিতরে তাকে চুপচাপই দেখা যায়। মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক চাইতেও দেখা যায়।
গতকাল দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও তার চেহারায় খুব একটা প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। আজও মুস্তাকিন সর্দারকে ভাবলেশহীন হিসেবেই দেখা যায়। কীভাবে এত নৃশংস কাজ করার পরেও সে এমন থাকতে পারে? সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গতকাল তার গায়ে হলুদ রঙের টিশার্ট পরেছিল। এদিন সেই টিশার্টের উপর জ্যাকেট চাপানো ছিল। মাথায় শীতের টুপি ছিল। পুলিশ তাকে মাঝখানে ঘিরে নিয়ে আদালতের ভিতর যায়। আবার সাজা ঘোষণার পর একই ভাবে বার করে নিয়ে আসে। গতকাল সে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আজ আর সেই সুযোগ তাকে পুলিশ দেয়নি।
আদালতে বিচারক রায় ঘোষণার পরেই কেঁদে ফেলেন নাবালিকার বাবা-মা। ফাঁসির সাজায় খুশি হয়েছেন কন্যা হারানো পিতা-মাতা। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও এই রায়ে খুশি। কিশোর-কিশোরীরা এদিন এলাকায় মিছিলও করেন। বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায় ১০৩ ধারায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।