স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর বাংলাদেশের জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে রাজ্য পুলিশকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। দুটি বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন শুভেন্দুর উপর হামলার চেষ্টা করতে পারে এবং তিন জঙ্গিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা তথ্যে দাবি করা হয়েছে। আর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই সতর্কবার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, রাজ্য পুলিশের আরও তৎপর হওয়া উচিত। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, এক্ষেত্রে তো কেন্দ্রীয় সরকারের ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ই প্রশ্নের মুখে পড়ছে।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, মনে রাখতে হবে, শুভেন্দু নিজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। আর সীমান্তপারের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএসএফের। অন্যদিকে, জঙ্গি সক্রিয়তার বার্তা দেয় সতর্ক করে কেন্দ্রের আইবি। এই ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ে কোনও গাফিলতি থাকলে সেই ব্যর্থতার দায় তো কেন্দ্রীয় সরকারের। রাজ্য সরকারের কথা টেনে অসম্মান করে লাভ কী। বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কুণাল ঘোষের পরিষ্কার বক্তব্য, "উনি (শুভেন্দু) নিরাপদে থাকুন। সুস্থ থাকুন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে, উনি কিন্তু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পান। জঙ্গি যদি ঢোকে তাহলে বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঢুকবে। সেখানেও তো বিএসএফ আটকাবে। বিএসএফ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। আর জঙ্গিদের গতিবিধিও তা কেন্দ্রীয় আইবি—র দেখার কথা। ফলে বিষয়টিকে রাজ্যের দিকে ঘোরানোর চেষ্টা যেন না হয়। শুভেন্দুর নিরাপত্তা ত্রিস্তরীয়। ওটা কেন্দ্রের দায়িত্ব।"
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে সিআরপিএফ। এদিকে, বাংলায় জঙ্গি ঢোকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপরই দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। শুভেন্দুকে নিশানা করে শওকতের বক্তব্য, "বাংলায় অনেকগুলি মিরজাফর এসেছিল সেই মিরজাফরেরা কেউ অপঘাতে মরেছে, কেউ জেলে পচে মরেছে। আগামীদিনে ওইভাবে ওকে চলে যেতে হবে।" তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেন, "আমরা সুস্থতা চাই। কারও অপঘাতে মৃত্যু সমর্থন করি না। আমরা রাজনৈতিক বিরোধী। ওঁর দলবদলের সমালোচনা করব। কিন্তু এসব কখনও বলব না।" এদিকে, জঙ্গি ইস্যুতে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। শুভেন্দুর উপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন সাংসদ।