মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: হাওড়ার (Howrah) নিহত ছাত্রনেতা আনিস খানের ভাই সলমনের উপর হামলা হয়েছে শুক্রবার গভীর রাতে। ভোজালির কোপে ক্ষতবিক্ষত সলমন খানকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের আইসিইউ-তে (ICU) ভরতি করা হয়েছিল। কিন্তু একদিনের মধ্যে তাঁকে ছেড়ে দিল হাসপাতাল। রবিবার সলমনকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। আর কর্তৃপক্ষের সেই সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তুলল পরিবার। আইসিইউ-এর রোগীকে কীভাবে একদিনেই ছেড়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিল, তা বুঝতে পারছেন না কেউই। এই অবস্থায় সলমনকে বাড়ি ফেরাতে নারাজ তাঁর পরিবার। আনিসের ভাইয়ের উপর এমন নৃশংস হামলার অভিযোগে রবিবার তাঁদের বাড়ি গিয়েছিল এসএফআইয়ের এক প্রতিনিধিদল। তাঁদের বাড়ি থেকে আমতা থানা (Amta PS)পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার গভীর রাতে। আনিস খানের (Anis Khan) খুড়তুতো ভাই সলমন খানের উপর আচমকাই হামলা হয়। আমতার সারদা গ্রামের বাসিন্দা সলমন। নিহত ছাত্রনেতা আনিসের বাড়ির প্রায় ১০০ মিটারের মধ্যে তাঁর বাস। অভিযোগ, শনিবার গভীর রাতে সলমন ও তাঁর স্ত্রী বাড়ির বাইরে বেরন। ঠিক সেই সময় তাঁর বাড়িতে কয়েকজন দুষ্কৃতী হানা দেয়। স্ত্রীর সামনেই ভোজালি দিয়ে সলমনকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। চিৎকার করতে থাকেন সলমনের স্ত্রী। এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা। এদিকে, রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সলমন। স্থানীয়রাই তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করেন। উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সলমনকে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সলমনের অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক।
[আরও পড়ুন: আস্ত মল পুরোটাই মদ! সুরাপ্রেমীদের মন ভরাতে মদের শপিং মল খুলছে কলকাতায়]
উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের ICU-তে ভরতি ছিলেন সলমন খান। কিন্তু রবিবার তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কীভাবে একদিনের মধ্যেই আশঙ্কাজনক রোগীকে ছেড়ে দিল হাসপাতাল? এই প্রশ্ন ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পালটা দাবি, সলমনের চিকিৎসায় ২ সদস্যের মেডিক্যাল টিম তৈরি হয়েছিল সার্জারি ও মেডিসিন বিভাগের দুই চিকিৎসককে নিয়ে। তাঁরাই সলমনের শারীরিক পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তাহলে কেন আইসিইউ-তে ভরতি করা হল তাঁকে? তাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ছিল। সলমনে ভালভাবে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্যই আইসিইউ-তে রাখা হয়। তবে আনিসের দাদা সাবির খানের দাবি, ”কেন হাসপাতাল এভাবে ছেড়ে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না। আমরা ওকে ফেরাব না।”
[আরও পড়ুন: কাঁধে সন্তানকে বেঁধে আর বাগানে কাজ নয়, চা বলয়ে ক্রেশ তৈরির প্রতিশ্রুতি অভিষেকের]
এই ঘটনার পর রবিবার বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukerjee)-সহ যুবদের প্রতিনিধি দল আনিসের বাড়িতে যায়। কেন বারবার এই পরিবারের উপরই হামলা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে আমতা থানায় বিক্ষোভ দেখানোর কর্মসূচি নেয় এসএফআই-ডিওয়াইএফআই।