জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ (Rape) করে গর্ভপাত করানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এলাকায় খোঁজখবর নিতে গেলেই বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় বাবা। এহেন কুকর্মে জড়িত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাতুড়ে ডাক্তারকে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) গোপালনগর থানা এলাকার ঘটনায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। পকসো (POCSO) আইনে মামলা দায়ের হয়েছে বাবার বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ওই হাতুড়ে ডাক্তারকে নিজের বাড়ির এলাকা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত বাবা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকের এক সহযোগী পলাতক। তাদের সন্ধানে নেমেছেন তদন্তকারীরা। নাবালিকা মেয়েকে (Teenage daughter) ধর্ষণ এবং গর্ভপাতের ঘটনা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি উঠতে থাকে। শেষমেশ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
[আরও পড়ুন: Weather Update: নতুন বছরেই ক্রিজে জাঁকিয়ে বসল শীত, পড়ল পারদ, কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু কলকাতা]
সম্প্রতি গোপালনগরের এই নাবালিকা গর্ভবতী (Pregnant) হয়ে পড়ে। অভিযোগ, তা জানার পর স্থানীয় হাতুড়ে চিকিৎসক অধীররঞ্জন অধিকারীকে দিয়ে গর্ভপাত করানো হয় তার। ঘটনার কথা দিন কয়েক আগে জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিতেই বিপদ বুঝে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বাবা। পুলিশকে সামনে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালিকা। বাবা ও হাতুড়ে চিকিৎসকের কুকীর্তির কথা সবিস্তারে সে পুলিশকে জানায়। যদিও এ নিয়ে নাবালিকার পরিবার কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ। পুলিশ তদন্তে নেমে শনিবার রাতে অভিযুক্ত হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা বিষয়টি জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্ত বাবা ও অপর সহযোগীর তল্লাশি চলছে।