সুমন করাতি, হুগলি: বাড়ির কোণে কোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে খেলনা, জামাকাপড়, বইখাতা। শুধু ছোট্ট ছেলেটাই নেই। নৃশংসভাবে সন্তান খুনের পর কেটে গিয়েছে দুদিন। এখনও জানা যায়নি কে বা কারা খুন করল খুদেকে। খুনের কারণও স্পষ্ট নয়। জমাট রহস্যের কিনারা করা সম্ভব হয়নি। তারই মাঝে রবিবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পুলিশের উপর আস্থা রেখেও সিআইডি তদন্তের দাবিতে সরব স্কুলছাত্রের বাবা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে খুন হয় স্কুলছাত্র। সেই সময় বাড়িতে বাবা-মা ছিল না। জোরে জোরে চলছিল টিভি। বাড়িতে পোষ্য সারমেয় থাকা সত্ত্বেও কীভাবে খুন হল খুদে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে খুন হল ছাত্রটি, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আঘাতের চিহ্ন দেখে তদন্তকারীরা মোটামুটি নিশ্চিত যে ভারী কিছু দিয়ে নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তাকে। পেশাদার খুনিকেও কাজে লাগানো হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। পরিচিত কেউ যে এই খুনের সঙ্গে যুক্ত, সে বিষয়ে মোটের উপর নিশ্চিত তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: সারদা দেবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট, তথাগতর তোপে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি]
শনির পর রবিবারও ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অভিজিৎ মাণ্ডি বলেন, ‘‘রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করলে অনেক রক্তপাত হয়। সেইরকম রক্তপাত দেখা গিয়েছে এই কেসে।’’ নিহতের বাবা পঙ্কজ জানান, বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশি তদন্ত আস্থা রয়েছে তাঁর। খুনের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে জানতে বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা যে করতে হবে, তা বলছেন ছাত্রের বাবা। তবে সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, রবিবার বিকেলে এলাকায় একটি শান্তি মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।