সন্দীপ মজুমদার ও রঞ্জন মহাপাত্র : রূপনারায়ণে যাত্রীবোঝাই ডুবন্ত নৌকার হদিশ মিলল হাওড়ার শশাটিতে। ভাঙা নৌকার একাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে পূর্ব মেদিনীপুরের মায়াচর ফেরিঘাটে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নৌ পরিষেবা, বন্ধ ভুটভুটিও। এদিকে, নিয়ম মেনে নৌকা না চালানোর অভিযোগে মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলেও খবর।
[আরও পড়ুন: বায়োপিকের অর্থ দিয়ে সেতু নির্মাণ করতে চান ‘অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’ করিমুল]
মহিষাদলের মায়াচর থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে অমৃতবেড়িয়ার দিকে যাচ্ছিল নৌকাটি। মোট ৩৫ জন যাত্রী ছিল নৌকাটিতে। জলের তোড়েই নৌকাটি উলটে দুর্ঘটনা ঘটে। যদিও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে নামে মহিষাদল, তমলুক থানার পুলিশ। স্পিডবোট নিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। নামানো হয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাফটও। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করায় একে একে উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ জন যাত্রীকেই। নৌকা আচমকা উলটে যাওয়ায় জলে পড়ার আঘাত এবং বেশ কিছুক্ষণ ডুবে থাকার জেরে অনেকেই তখন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁদের হাওড়ার শ্যামপুরে নিয়ে গিয়ে মধ্যে ১৫জনকে হাওড়ার কমলপুর ও উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও মহিলা। একজনের খোঁজে এখনও তল্লাশি চলছে।
এদিকে, রূপনারায়ণে নৌকাটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়। হাওড়ার শশাটির কাছে ভাঙা অংশ উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নৌকাডুবির ঘটনায় এখনও প্রাণহানির কোনও খবর মেলেনি। নিয়ম না মেনে নৌকা পারাপারের জন্যই এমন দুর্ঘটনা বলে মনে করছে প্রশাসন। নৌকার মালিক লক্ষ্মণ পালের নামে এই মর্মে এফআইআর দায়ের হয়েছে মহিষাদল থানায়। এমনিতে জোয়ারের জলের স্রোত প্রবল থাকলে, নৌ পারাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু এদিনের নৌকাটি সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই যাত্রী নিয়ে পারাপার করছিল। দুর্ঘটনার পর ওই তীব্র স্রোতের মধ্যেই বেশ কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন। বাকিদের উদ্ধার করে পুলিশ, ডুবুরি। এই ঘটনার পর থেকে মায়াচর ফেরিঘাটে ভুটভুটি বা নৌকা চলাচল আপাতত বন্ধ রয়েছে।
[আরও পড়ুন: রূপনারায়ণে ডুবল যাত্রী বোঝাই নৌকো, শুরু উদ্ধারকাজ]
ছবি: সৈকত মাইতি।
The post নিয়ম অমান্য করেই পারাপার, রূপনারায়ণে নৌকাডুবিতে মালিকের বিরুদ্ধে FIR appeared first on Sangbad Pratidin.