আপনা থেকেই বন্ধ হচ্ছে দরজা, ভেসে আসছে বিকট শব্দ, Malda Medical-এ দাপাদাপি ‘অশরীরী’র!

05:55 PM Aug 13, 2021 |
Advertisement

বাবুল হক, মালদহ: গল্পের বইতে ভূতের কথা শোনা যায়। বাস্তবে তার অস্তিত্ব আছে কিনা, তা নিয়ে তর্ক বিতর্কের অন্ত নেই। অনেকে দাবি করেন অশরীরীর অস্তিত্ব রয়েছে। আবার কেউ কেউ তা উড়িয়ে দেন। তবে এই তর্ক বিতর্কের মাঝে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Malda Medical College & Hospital) নয়া বিভ্রাট। নার্সিং স্টাফদের দাবি, রাত বাড়লেই ওই হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে অশরীরীর দাপাদাপি বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অধ্যক্ষকে সেকথা জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নার্সিং স্টাফদের (Nursing Staff) দাবি, রাত বাড়লেই হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে অশরীরীর দাপাদাপি বাড়ছে। কখনও নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে দরজা। কখনও আবার নানা রকমের বিকট আওয়াজ ভেসে আসছে। আবার কখনও কেউ অ্যাসিড ছুঁড়ছে। তার ফলে ভয় লাগছে তাঁদের। রাতের শিফটে কাজ করাই যেন দায় হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি নার্সিং স্টাফদের। অশরীরীর দাপটে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ রাখারও ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁরা। সাফাইকর্মীদের বক্তব্যও প্রায় একইরকম। তাঁরাও নাকি হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে অশরীরীর অস্তিত্ব টের পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন নার্সিং স্টাফেরা। বৃহস্পতিবারই বেশ কিছুক্ষণ অশরীরীর বিষয়ে অধ্যক্ষের সঙ্গে কথাও হয় তাঁদের।

[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ, গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ৪]

তবে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অশরীরীর হানা মানতে রাজি নন অধ্যক্ষ। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, ট্রমা সেন্টার এখন ফাঁকাই রয়েছে। তাই হয়তো রাত্রিবেলা নার্সিং স্টাফ এবং সাফাইকর্মীরা ভয় পাচ্ছেন। অশরীরীর তত্ত্বে সিলমোহর দিতে একেবারেই নারাজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ। কেউ অযথা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য হাসপাতাল চত্বরে এমন কাণ্ড ঘটাচ্ছে কিনা, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন আগে লাটাগুড়ির জঙ্গল থেকে ‘জ্যান্ত পেত্নী’কে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ভূতের ভয় দেখিয়ে সে পর্যটকদের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করত বলে অভিযোগ।  

[আরও পড়ুন: সুপারি কিলার দিয়ে খুনের ছক, মঙ্গলকোটের TMC নেতা হত্যাকাণ্ডে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার মাস্টারমাইন্ড]

Advertising
Advertising
Advertisement
Next