সুব্রত যশ, আরামবাগ: সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। আবার তার উপর নিম্নচাপের দাপটে গত সপ্তাহে পরপর দু’দিন বৃষ্টিতে (Rain) ভেজে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। নিম্নচাপের প্রভাব কেটে গেলেও বৃষ্টি চলছে কিছু কিছু জেলায়। তার ফলে হু হু করে বাড়ছে নদীগুলির জলস্তর। রূপনারায়ণ এবং দ্বারকেশ্বরের জলে প্লাবিত হুগলির খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে করে চলছে উদ্ধারকাজ। এই প্রথম খানাকুলে (Khanakul) প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধারে নামল বায়ুসেনার কপ্টার।
যতদূর চোখ যাবে শুধু জল আর জল। কোথাও গলা পর্যন্ত আবার কোথাও কোমর জলে ভাসছে খানাকুলের জানাপাড়া, পালপাড়া, আদকপাড়া। বিঘার পর বিঘা খেত জমি ডুবে গিয়েছে জলে। ঘরের ভিতরেও জল ঢুকে যাওয়ায় বসবাস করাও দায় হয়ে গিয়েছে। মিলছে না পানীয় জল এবং খাবার। ঘরবাড়ি জলে তলিয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত স্থানীয়দের। এই পরিস্থিতিতে একাধিকবার প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকে বায়ুসেনার (Air Force) হেলিকপ্টারে করে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের উদ্ধার কাজ চলছে। জলের স্রোত এতটাই বেশি যে স্পিডবোটে উদ্ধারকাজ চালানো কার্যত অসম্ভব। আপাতত কয়েকদিন অন্যত্র তাঁদের বসবাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাঁদের জন্য খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: Landslide: প্রবল বর্ষণে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ফের ধস, বিচ্ছিন্ন Kalimpong ও Sikkim]
এদিকে, খানাকুলের মতো আরামবাগের (Arambag) বন্দিপুরে দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গোটা এলাকা। পাঁশকুড়া এবং ঘাটালের অবস্থাও বেশ খারাপ। জাতীয় সড়কে বন্ধ যানচলাচল। কালনাতে নদীর দু’পাড়ের ভাঙন ক্রমশই বাড়ছে। পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের নসরতপুরের জালুইডাঙা, মনমোহনপুর, কিশোরীগঞ্জের বাসিন্দা ভাগীরথীর ভাঙনে আতঙ্কিত। আবার ডিভিসির (DVC) ছাড়া জলে প্লাবিত হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা। জলের তলায় চলে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা জমি। বাড়ির ভিতরেও ঢুকেছে জল। সমস্যায় জলবন্দি মানুষজন।