তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: মালদহ, বারাসতের পর এবার শিলিগুড়ি। বাংলাদেশিদের বয়কটের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন শিলিগুড়ির হোটেল ব্যবসায়ীরা। স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, এই পরিস্থিতিতে ওপার বাংলার কোনও পর্যটককে হোটেল ভাড়া দেওয়া হবে না। ফলে পর্যটন শিল্পে খানিকটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকছেই। তবে দেশের সম্মানের স্বার্থে তা মেনে নিতে প্রস্তুত ব্যবসায়ীরা।
গত কয়েকমাস ধরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ধারাবাহিক ঘটনায় গোটা বিশ্বের সমালোচনার কেন্দ্রে এখন বাংলাদেশ। বিশেষ করে হিন্দুদের উপর অত্যাচার মাত্রাছাড়া হয়ে চলেছে ইউনুস সরকারের আমলে। অবাধে ভাঙচুর চলছে মন্দির, উপাসনালয়ে। আর ওদিকে অত্যাচার যত বাড়ছে, এপারে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে আসার প্রবণতা বাড়ছে বাংলাদেশিদের মধ্যে। এদিকে ওপারে হিন্দু নির্যাতন ও ভারতের জাতীয় পতাকার অপমানের প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের হোটেলগুলি প্রতিবেশী দেশের বাসিন্দাদের জন্য দরজা বন্ধ করছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল শিলিগুড়ি।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী কমিটি। ছিলেন সংগঠনের সভাপতি রাজীব দাস, যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। শিলিগুড়ির হোটেল মালিকদের এই সিদ্ধান্তেই আরও বিপাকে পড়তে চলেছে ওপার বাংলার পর্যটকরা। এদিকে খানিকটা হলেও ধাক্কা খাবে ব্যবসা। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, "ক্ষতি হবে না এমনটা নয়। তবে দেশ সবার উপরে। যে ক্ষতি হবে আমরা তা মানিয়ে নিতে পারব। তবে যেভাবে আমাদের দেশের পতাকার অপমান করা হচ্ছে, তা মানতে রাজি নই।"