shono
Advertisement

তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এবার বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব দলেরই একাংশ

দলীয় ফান্ডের টাকা নয়ছয় করেছেন সভাপতি, অভিযোগ সহ-সভাপতির৷ The post তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এবার বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব দলেরই একাংশ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:39 PM Jul 17, 2019Updated: 10:11 PM Jul 17, 2019

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: লোকসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পেয়েছে দল৷ বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে এ রাজ্যে জমি পোক্ত করার কাজ৷ কিন্তু তারই মধ্যে চরমে উঠেছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল৷ এবার যে কাঁটায় বিদ্ধ হলেন দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ দাস (ববি)। তাঁর বিরুদ্ধে এবার দলীয় ফান্ডের টাকা তছরুপের অভিযোগ করলেন জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু৷ একই অভিযোগে সরব হয়েছেন জেলা কমিটি ও মণ্ডল কমিটিগুলির বেশ কিছু বর্তমান ও প্রাক্তন বিজেপি সদস্যরাও৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: টিএমসিপি-এবিভিপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র পটাশপুরের পালপাড়া কলেজ, আহত ৪]

সূত্রের খবর, এই অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়াতেও শুরু হয়েছে উত্তেজনা৷ অভিজিৎ দাসের বিরুদ্ধে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শুরু হয়েছে লেখালেখি৷ তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ তুলে পোস্ট করতে শুরু করেছেন দলেরই একাংশ। অভিযোগে বলা হয়েছে, দলীয় ফান্ডের অর্থ নয়ছয় করেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি৷ ডায়মন্ড হারবার লোকসভা আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন তিনি। ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে যাতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা করতে না পারেন, সেই চেষ্টাও করেছেন। জেলায় বিজেপির এগারোটি দলীয় অফিসে শাসকদল ভাঙচুর এবং দখলের পরও, জেলা সভাপতি নীরব ভূমিকা পালন করেছেন। লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নেতা ও কর্মীদের নিষ্ক্রিয় করে রাখার চেষ্টা করেছেন অভিজিৎ দাস৷ কর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটি প্রতিটি জেলায় দলীয় পার্টি অফিস তৈরির জন্য যে অর্থসাহায্য করে, সেই টাকা কোথায় গেল?’’ তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘‘প্রায় প্রতিটি জেলায় ওই টাকায় বিজেপির দলীয় অফিস তৈরি হলেও৷ ব্যতিক্রম রয়ে গিয়েছে কেবল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিম) জেলা৷ এখানে এখনও কোনও দলীয় পার্টি অফিস তৈরি হয়নি৷ সভাপতি কেবল জমি দেখার ‘নাটক’ চালিয়ে যাচ্ছেন।’’

তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০১৪-র লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন অভিজিৎ দাস। সেই নির্বাচনে খরচ না হওয়া দশ লক্ষ টাকার হিসেব, আজ দলকে দেননি সভাপতি। এমনকী, ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ যাত্রার জন্য পাওয়া ২৮ লক্ষ টাকার হিসেব দেননি তিনি। এছাড়া কর্মীরা শাসকদলের হাতে মার খেলেও, তৃণমূল নেতা, বিধায়ক এবং কয়েকজন মন্ত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন জেলা সভাপতি৷ দলের টাকায় কেনা দামি গাড়িতে চড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। আনুগত্য না মানলে, দলের কর্মীদেরই তিনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিয়ে মার খাওয়াচ্ছেন৷ এবং পুলিশের সাহায্য নিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন।

[ আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত অফিসে কাটমানি পোস্টার উপপ্রধানের বিরুদ্ধে, হৃদরোগে আক্রান্ত অভিযুক্ত নেতা ]

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা একগুচ্ছ অভিযোগ প্রসঙ্গে অভিজিৎ দাস জানান, ‘‘দলে থেকেও যাঁরা এসব মিথ্যা প্রচার করে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা আসলে ইচ্ছাকৃতভাবে সংগঠনেরই ক্ষতি করছেন। জেলা সভাপতির ভূমিকা যথাযথ ভাবেই পালন করেছি এবং করছি। এবার লোকসভা ভোটে মথুরাপুর কেন্দ্রে আমার জন্যই বিজেপির প্রচুর ভোট বেড়েছে৷ আর সেজন্য আমাকে দমাতে তৃণমূল আমার বিরুদ্ধে বহু মিথ্যা মামলাও দিয়েছে। সুতরাং দলে কে আমার বিরুদ্ধে কী বলল, তাতে কান দিই না। দল আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা আমি পালন করে যাব।’’ নাম না করে জেলায় সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটুকে একহাত নেন অভিজিৎ দাস৷ বলেন, মিডিয়ায় প্রচার পেতেই সহ-সভাপতি তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারে নেমেছেন। দলের রাজ্য নেতাদের কাছে ভাল সেজে সভাপতির পদ দখলই তাঁর আসল উদ্দেশ্য। এ প্রসঙ্গে সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু বলেন, ‘‘সভাপতির বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ কেবল আমার একার নয়৷ জেলা কমিটি ও প্রতিটি মণ্ডল কমিটির সদস্যরা এনিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।’’

The post তুঙ্গে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এবার বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে সরব দলেরই একাংশ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement