রাহুল রায়, বসিরহাট: লক্ষ লক্ষ টাকার বিদেশি পাখি পাচারের চক্রের পর্দাফাঁস। কলকাতার বাসন্তী হাইওয়ের (Basanti Highway) মালঞ্চ দক্ষিণঘেরির কাছে নাকা চেকিং চলাকালীন একটি গাড়ি থেকে বেশ কিছু বিদেশি পাখি উদ্ধার করে পুলিশ। বিরল প্রজাতির ওই পাখিগুলি (Birds) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বলে জানতে পারে পুলিশ। গাড়িচালক রফিকুল গাজিকে আটক করে জেরা শুরু করতেই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। তাতেই বোঝা যায়, এই পাখিগুলি পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর নেপথ্যে বড়সড় মাথা জড়িত বলেই ধারণা পুলিশের। তাদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
বসিরহাটের মিনাখাঁ (Minakha) থানা বাসন্তী হাইওয়ে সুন্দরবন পর্যটন কেন্দ্রের দক্ষিণঘেরি এলাকার একটি গাড়ি থেকে খাঁচাবন্দি অবস্থায় পুলিশ পাখিগুলিকে উদ্ধার করে। মিনাখাঁ থানার পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশের কোনও এক এজেন্টের কাছ থেকে পাখিগুলো সংগ্রহ করে রফিকুল কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছিল। মিনাখাঁর চৈতলের বাসিন্দা রফিকুল গাজি। তার কাছে থাকা তিন ধরনের মোট ২৫ টি বিদেশি পাখি উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্ত তরুণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী, টুইটে শোকবার্তা]
মিনাখাঁ থানার পুলিশ আধিকারিকের কাছে গোপন সূত্রে খবর আসে, দক্ষিণঘেরি এলাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে। এরপর তাঁর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল টহলদারির সময় একটি চারচাকা গাড়ি দেখতে পেয়ে আটক করে। গাড়িচালককে জিজ্ঞাসা করতেই গাড়ির ভেতর থেকে খাঁচা বন্দি বিভিন্ন প্রজাতির লরিবার্ড, রামপ্যারট, লাভ বার্ড-সহ বিভিন্ন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন প্রজাতির এই পাখিগুলো বসিরহাটের সীমান্ত এলাকা থেকে নিয়ে যাচ্ছিল পাখি পাচারকারী।
জানা যায়, কলকাতা রাজ্যে ছাড়িয়ে ভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় পাখি মোটা অর্থের বিনিময় পাচার করার উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারী রফিকুলের। সেগুলিকে প্রাথমিকভাবে মিনাখাঁ বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সল্টলেকের ‘বনবিতান’ নিয়ে যাওয়া হবে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রফিকুলের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পাখি (International Birds smuggler) পাচারচক্রের যোগসূত্র আছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এর সঙ্গে আরও বড়সড় চক্র আছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখছে মিনাখাঁ থানার পুলিশ।