শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: খেলার নাম করে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল যুবক। সেই মামলাতেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সাজা শোনাল জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। আজ সোমবার এই রায় শুনিয়েছে আদালত। রায় শুনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন ওই নাবালিকার পরিবার।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের। জলপাইগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকার একই বাড়িতে ভাড়া থাকত ওই নাবালিকার পরিবার ও ওই অভিযুক্ত যুবক। ঘটনার দিন বাড়িতে একা ছিল ওই নাবালিকা। খেলার নাম করে ওই নাবালিকাকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। সেখানেই ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে ভয় দেখিয়েছিল সে। পরে ওই নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মেয়েকে অসুস্থ দেখে সন্দেহ হয় তার বাবা-মায়ের। ভয়ে কুঁকড়ে ছিল সে। পরে বাবা-মাকে পুরো ঘটনার কথা বলে নাবালিকা। এরপরই কালবিলম্ব না করে ভক্তিনগর থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ দ্রুত রিন্টু সুরকে গ্রেপ্তার করে। পকসো ধারায় মামলা দায়ের হয়। আলিপুরদুয়ারের বিশেষ পকসো আদালতে শুরু হয় শুনানি। প্রায় পাঁচবছর মামলা চলার পর এদিন মামলার রায় দিলেন বিচারক। বিচারক রিন্টু সুর অভিযুক্তকে ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও নাবালিকার পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের জন্য ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।