শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এসেছিলেন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে। রেঁধে খাওয়ালেন মাংস, ভাত। দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষা সংসদ সামলানো চেয়ারম্যানের রান্নার গুনে মুগ্ধ জলপাইগুড়ি সদর প্রাথমিকের ছাত্রী থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বুধবার অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে জলপাইগুড়ি সদর বালিকা বিদ্যালয়ে ছিল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেখানেই উপস্থিত হয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান লৈখ্যমোহন রায়। গত বছর বনমহোৎসবে বাড়িতে লাগানোর জন্য স্কুল থেকে চারাগাছ দেওয়া হয়েছিল খুদে পড়ুয়াদের। কচি হাতের যত্নআত্তি পেয়ে চারা গাছগুলো কতটা বড় হয়েছে তা খতিয়ে দেখে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় নির্বাচন করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি সোমবার অরণ্য সপ্তাহ উপলক্ষে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা-সহ একাধিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতায় স্থানাধিকারীদের এদিন পুরস্কৃত করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আগে বালতি উলটে দেখাক’, ‘সরকার ফেলে দেওয়া’র হুঁশিয়ারিতে শান্তনু-সুকান্তকে চ্যালেঞ্জ মমতার]
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের কারণে মিড ডে মিলে ছিল স্পেশ্যাল মেনু। ছিল মুরগির মাংস। আলাদা করে যার ব্যবস্থা করেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মিড ডে মিলের রান্নাঘরে গিয়ে রান্নার কাজ খতিয়ে দেখেন সংসদ চেয়ারম্যান। ছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিলে কী কী রান্না হয় খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি মাংস রান্নায় হাত লাগান তিনি। সংসদ চেয়ারম্যানকে রাঁধুনির ভূমিকায় দেখে অবাকই হয়ে যান উপস্থিত সকলে। পরে তাঁর হাতের রান্না খেয়ে তারিফ ও করেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকী ছাত্রীরাও।
সংসদ চেয়ারম্যান লৈখ্যমোহন রায় বলেন, “স্কুল আমার কাছে আমার পরিবার। পরিবারের জন্য সবাই ভাল কিছু করে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করলাম।” এদিন পরিবেশ নিয়ে সদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান অরূপ দে-সহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন চেয়ারম্যান। বলেন, উষ্ণায়ন রুখতে সবুজায়নই হাতিয়ার। সদর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রশংসনীয় কাজ করছে।
