সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় (Jhalda Municipality) নাটকীয় মোড়। নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন পুরপ্রধান দায়িত্ব নেওয়ার পরই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দিলেন মহকুমা শাসক (SDO)। তার বদলে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে পুরপ্রধান হিসেবে মনোনীত করে নোটিস পাঠিয়েছে। সুদীপ কর্মকার আগে এই পুরসভার উপ-পুরপ্রধান ছিলেন। ফলে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের জটিলতা বাড়ল ঝালদা পুরসভায়।
গত সোমবারই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান পদে বসেছিলেন নির্দলের হয়ে জেতা কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। এই প্রথম কোনও মহিলা ঝালদা পুরসভায় পুরপ্রধান নির্বাচিত হন। ওইদিন কংগ্রেসের (Congress) ৬ এবং নির্দলের এক কাউন্সিলর-সহ ৭টি ভোটে তিনি পুরপ্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। মঙ্গলবার তিনি প্রথম কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু দু’দিন কাটতে না কাটতেই ফের জটিলতা দেখা দিল শীলা চট্টোপাধ্যায়ের পদ নিয়ে।
[আরও পড়ুন: ‘পদ্মে ভোট দিন, চোরদের জেলে ভরব’, বাংলায় এসে শুভেন্দুর সুরে সুর মেলালেন নাড্ডা]
বৃহস্পতিবার শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করলেন ঝালদার মহকুমা শাসক ঋতম ঝা। আর তার এক ঘণ্টার মধ্যেই সুদীপ কর্মকারকে নয়া পুরপ্রধান ঘোষণা করে জারি হল সরকারি বিজ্ঞপ্তি। নিয়ম অনুযায়ী নতুন করে পুরপ্রধান নির্বাচন করতে হবে ঝালদা পুরসভায়। দায়িত্ব নেওয়ার ২ দিনের মধ্যেই এহেন পরিস্থিতিতে প্রাথমিকভাবে বাকরুদ্ধ হয়ে যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। ধাক্কা কাটিয়ে তিনি জানান, ”আমি আদালতে যাচ্ছি।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর প্রতিক্রিয়া, ”সুদীপ কর্মকারকে এভাবে পুরপ্রধান পদে বসানোর বিষয়টি জটিলতা বাড়াল। আমরা আদালতে যাব। শীলা চট্টোপাধ্যায়ের ভবিষ্যত নিয়েও আদালতের দ্বারস্থ হব।” এনিয়ে তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, ”এটা প্রশাসনিক বিষয়। এ নিয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার জায়গা নেই।” তবে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বেশ আত্মবিশ্বাসী যে পুরপ্রধান হিসেবে সুদীপ কর্মকারের নিয়োগে কাজ আরও ভাল হবে ঝালদা পুরসভায়।