সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেছেন অয়ন শীলের ‘বান্ধবী’ শ্বেতা চক্রবর্তী। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কোনও যোগ নেই বলে দাবিও করেছেন। অথচ তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগোবাংলা’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, কামারহাটি পুরসভার সিভিল ইঞ্জিনিয়ার শ্বেতা কাজে যাচ্ছেন না। আর সে কারণে শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন মডেল-অভিনেত্রী। ‘জাগোবাংলা’য় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শোকজের সম্ভাবনাও এড়ানো যাচ্ছে না।
শ্বেতার বাবা জানান, ছোট থেকেই মেধাবী পড়ুয়া ছিলেন তাঁর মেয়ে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। তবে বরাবর মডেলিং, অভিনয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল। কামারহাটির পুরসভায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজের পাশাপাশি অভিনয়ও করেছেন শ্বেতা। কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহার দাবি, গত ২০১৯ সালে ওই পুরসভায় অন্তত শতাধিক কর্মী নিয়োগ করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন শ্বেতা। অয়নের সুপারিশে শ্বেতা চাকরি পেয়েছেন কিনা, ইতিমধ্যে সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইডি প্রয়োজনীয় তথ্য চাইলে পুরসভা সমস্ত নথি দিতে প্রস্তুত বলেই দাবি পুরপ্রধানের।
[আরও পড়ুন: অনুপস্থিত বিচারপতি, দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছল অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি]
অয়ন শীলের গ্রেপ্তারির পর অন্তরালে চলে যান শ্বেতা। তবে ৩৬ ঘণ্টা পর বুধবারই একাধিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন। তা সত্ত্বেও শ্বেতা নাকি কামারহাটি পুরসভায় নিজের দপ্তরে অনুপস্থিত। এমন চললে তাঁকে শোকজ করা হতে পারে বলেই জানিয়েছেন কামারহাটি পুরসভার পুরপ্রধান। তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট না হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও খবর।