shono
Advertisement

পানাভরতি নদীর দু’পাড়ে গাছে দড়ি বেঁধেই ঝুঁকির পারাপার, পঞ্চায়েত ভোটের আগে দাবি সেতুর

বিদ্যাধরী নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবিতে সোচ্চার এলাকাবাসী।
Posted: 01:59 PM Mar 16, 2023Updated: 09:34 PM Mar 16, 2023

অর্ণব দাস, বারাসত: দুই ২৪ পরগনার মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে বিদ্যাধরী নদী। দু’পাড়ের দুটি গাছে দড়ি বেঁধে নৌকা (Boat) করে চলছে দুই জেলার মানুষের ঝুঁকির পারাপার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বারাসত (Barasat) ২ নম্বর ব্লকের কীর্তিপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার দীর্ঘদিনের এই সমস্যা সমাধানে পাকা সেতুর দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এ বিষয়ে মহকুমাশাসক সোমা সাউ বলেন, “বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। গ্রামবাসীদের দাবি মত ব্রিজ তৈরির বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।”

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) জেলার বারাসত ২ নম্বর ব্লকের কীর্তিপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বাধা এবং সানবেরিয়ে গ্রাম মিলিয়ে ৩৮০০-র বেশি মানুষের বসবাস। এই গ্রামের সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সংযোগস্থলে রয়েছে বিদ্যাধরী নদী। ঠিক ওপারেই কাশিপুর গ্রাম। নিত্যদিন দুই জেলার বাসিন্দারা এই বিদ্যাধরী নদী পারাপারের জন্য দুই পাড়ের দুটি গাছে দড়ি বেঁধেছেন। আর তারপর পানাভরতি নদীতে নৌকা করে দড়ি টেনেই চলছে ঝুঁকির পারাপার।

[আরও পড়ুন: হু হু করে বেড়ে মুরগি ৩০০ টাকার দোরগোড়ায়, ছুটির দিনে পাতে মাংস থাকবে তো?]

গ্রামবাসীরা জানান, মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বেশি মানুষ এই জেলার খড়িবাড়ি মাছ বাজারে ব্যবসার প্রয়োজনে আসেন। এছাড়াও খড়িবাড়ি থেকে খুব সহজেই রাজারহাট-নিউটাউন হয়ে কলকাতা যাওয়া যায়। তাই কলকাতা যেতেও এই জলপথ ব্যবহার করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাশিপুর গ্রামের বহু বাসিন্দা। একইসঙ্গে বারাসত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজনেও প্রতিদিন বহু মানুষ বিদ্যাধরী নদী পারাপার করেন। রোজ কমবেশি ৫০০ মানুষ এভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যাধরী নদী পেরন। তাই নদীর উপর একটি পাকা সেতু (Bridge) নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি গ্রামবাসীদের।

বাসিন্দাদের মতে, সেতু নির্মাণ হলে দুই জেলার সড়কপথের দূরত্ব কমবে। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলা থেকে সবজি, আনাজ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসত ২ নম্বর ব্লক থেকে মাছ অতি সহজেই পারাপার হয়ে ব্যবসায়িক আদানপ্রদান বাড়বে। রোজগার বাড়বে গ্রামবাসীদের। একইসঙ্গে খড়িবাড়ি হয়ে কলকাতার সঙ্গেও সড়ক পথের দূরত্ব কমবে। যাত্রী পারাপারকারী নৌকাচালক কাসিম শেখ বলেন, “পানাভরতি নদীতে দড়ি ধরে পারাপার করানো খুবই কষ্টের। সড়কপথে আসতে গেলেও অনেক ঘুর পথ। তাই সেতু তৈরি হলে সকলেরই সুবিধা হবে।”

[আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি নোবেল শান্তি পুরস্কারের সবচেয়ে বড় দাবিদার! মত নোবেল কমিটির শীর্ষকর্তার]

কয়েকবছর আগে পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বলেও খবর। এ বিষয়ে কীর্তিপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান শেখ মোফাজ্জল আলি বলেন, “২০১৪-১৫ সালে আমার সময়কালে পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সয়েল টেস্ট পর্যন্ত হয়েছিল বলে জেনেছিলাম। তারপরে আর খবর পায়নি। গ্রামবাসীদের দাবিমতো এই এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ হোক সেটি আমিও চাই।” পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ইফতিকার উদ্দিন বলেন, “নদী পারাপারে যাত্রী সুরক্ষা যাতে অক্ষুন্ন থাকে সে বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতকে দেখতে বলা হয়েছে। আগেও একটি পাকা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। পুনরায় সেতু নির্মাণের জন্য আলোচনা হয়েছে। এবিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক এবং প্রশাসনিক স্তরেও জানানো হবে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার