সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাজি নাকি বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটল নৈহাটিতে, এই প্রশ্নেই সরগরম রাজনৈতিক মহল। বাজি কারখানার আড়ালে নৈহাটিতে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল বলেই সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। জেহাদি কার্যকলাপ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে তোপ দাগেন তিনি।
বোমা নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে নৈহাটির ছাইঘাটে ভয়াবহ বিস্ফোরণ। তাতেই উড়ে গিয়েছে কারও বাড়ির চাল আবার কোথাও ফাটল ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে। আতঙ্কে জড়োসড়ে নৈহাটির ছাইঘাট এবং চুঁচুড়ার গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। এ খবর শোনামাত্রই নৈহাটিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছাইঘাটের ওই এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কোন বাড়ি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হল, তাও সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন বিজেপি সাংসদ। কথা বলেন বিস্ফোরণের তীব্রতায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গেও।
[আরও পড়ুন: বাতাসে মিশেছে প্রচুর বিষাক্ত গ্যাস, তীব্র বিস্ফোরণে প্রবল দূষণের আশঙ্কা]
গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার পর রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এত বড় বোমা বিস্ফোরণ তাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন দেবকে ছিল পটকার কারখানা। সেখানেই গত ৩ জানুয়ারি বিস্ফোরণ হয়। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে দেখে পশ্চিমবঙ্গ উড়ে যেতে পারত। জেহাদিরা এসে বসবাস করছে। জেহাদি কার্যকলাপ করছে। অথচ কারও কোনও মাথাব্যথা নেই। আমরা খাগড়াগড় বিস্ফোরণ দেখেছি, পিংলা দেখেছিলাম। দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল নিহতদের। তাও কারও কিছু যায় আসে না।” পুলিশের বিরুদ্ধে একহাত নিয়ে লকেট বলেন,”বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় কেন এত পুলিশের গাড়ি গিয়েছিল ছাইঘাটে? কী তারা গোপন করার চেষ্টা করছে? কেন বোমায় কী কী রাসায়নিক ছিল তা আগে পরীক্ষা করেনি পুলিশ? পুলিশেরও ধারণা নেই বোমার স্তূপে উপর বসে রয়েছে গোটা রাজ্য।” নৈহাটি বিস্ফোরণের রিপোর্ট কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি। বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মতোই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
দেখুন ভিডিও:
The post ‘জেহাদি কার্যকলাপ চলছে বাংলায়’, নৈহাটি বিস্ফোরণস্থল ঘুরে খোঁচা লকেটের appeared first on Sangbad Pratidin.
