সুমন করাতি, হুগলি: প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধরের (Dipsita Dhar) দিন কয়েক আগের 'মিস্টার ইন্ডিয়া' কটাক্ষের পালটা দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan banerjee)। শ্রীরামপুর লোকসভা (Serampore Lok Sabha constituency) কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীপ্সিতাকে 'মিস ইউনিভার্স' বলে বিঁধলেন। পালটা দীপ্সিতার তোপ, "চুরি, ডাকাতির টাকায় বিদেশ যাইনি"।বুধবার শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডোমজুড় (Domjur) বিধানসভা এলাকায় ভোট প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী নাম না করে দীপ্সিতাকে নিশানা করেন। কল্যাণ বলেন, "কোনও একজন ভোট প্রচারে এসে বলে গেছেন আমি নাকি 'মিস্টার ইন্ডিয়া'। আমি তাঁকে বলে যেতে চাই আপনি পাহাড়-পর্বত সবকিছু দেখেছেন। কিন্তু বাম জমানাতে যেভাবে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে, তা আপনি 'মিস ইউনিভার্স' দেখতে পাননি। একের পর এক তৃণমূল কর্মীদের সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী হত্যা করে মাটির তলায় পুঁতে দিয়েছিল। তখন আপনি দেখতে পাননি। জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটিতে এসএফআই জিতেছে বলে আপনি ভাবলেন শ্রীরামপুরেও সিপিএম জিতবে?"
[আরও পড়ুন : গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রেয়াত নয়! বীরভূমের কোর কমিটির বৈঠকে কড়া বার্তা অভিষেকের]
২০০৯ সালে প্রথম শ্রীরামপুর থেকে জেতেন কল্যাণ। সেই জয়ের ধারা তিনবার অব্যাহত। গতবার লোকসভা নির্বাচনে তিনি ৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭০৭টি ভোট পেয়ে জয়ী হন। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনেও ৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৩৩ ভোট পেয়ে জিতেছিলেন। সেবার শ্রীরামপুর লোকসভায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন সিপিএমের দীপ্সিতা ও বিজেপির কবীরশঙ্কর। দীপ্সিতা ও তাঁর পরিবারের রাজনৈতিক লড়াই নিয়েও কল্যাণ বলেন, " ২০০৯ থেকে আমি শ্রীরামপুর কেন্দ্রের মানুষের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদে একের পর এক নির্বাচনে জিতে এসেছি। আমি শিরদাঁড়া সোজা করে লড়াই করি। আমার শিরদাঁড়া কোনও দিন ঝোঁকে না। আপনাকে আমি প্রশ্ন করছি, বালিতে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, জিততে পারেননি কেন? আপনার মা তিনবার পঞ্চায়েত সমিতিতে এবং একবার জেলা পরিষদে দাঁড়িয়ে ২৫০০০ ভোটে হেরে গেলেন কেন?
[আরও পড়ুন : ‘ফোর পাশ বহিরাগতকে মানছি না’, বিজেপি প্রার্থী অসীমের বিরুদ্ধে পোস্টার মেমারিতে]
অন্যদিকে, হিন্দমোটর এলাকায় ভোট প্রচার সারেন দীপ্সিতা। 'মিস ইউনিভার্স'কটাক্ষ প্রসঙ্গে দীপ্সিতা বলেন, "সব কথার জবাব দিতে নেই। তবে আমি চুরি বা ডাকাতির কিংবা সরকারের টাকাতে বিদেশ যাইনি। নিজের পড়াশোনার জন্য যেতে হয়েছে। তৃণমূল, বিজেপি চায় না দেশের পড়ুয়ারা বিদেশে গিয়ে দেশের বা রাজ্যের নাম উজ্জ্বল করুক"।