ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: বিয়েবাড়ির আনন্দে মেতেছিলেন বর ও কনেপক্ষ উভয়ই। কিন্তু এক লহমায় ছেয়ে গেল বিষাদ। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হলেন খোদ পাত্রের দাদা। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে।
[পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তা ইস্যুতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক কমিশনের]
বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো এলাকায় রাজপুত পরিবারগুলি বিয়ের উল্লাসে মেতে সাধারণত হাওয়ায় গুলি চালানোর রীতি রয়েছে। তাতেও অবশ্য অনেক সময় অঘটন ঘটে। সেই ঘটনাই এবার ঘটল উত্তর ২৪ পরগনায়। মধ্যমগ্রামের তন্দ্রা গার্ডেনে বিয়ের আয়োজন হয়েছিল বেশ ধুমধাম করেই। পাত্রী মধ্যমগ্রামেরই বঙ্কিমপল্লির বাসিন্দা। আর পাত্র থাকেন টিটাগড় থানা এলাকার পুরানিতে। পাত্রপক্ষের উপস্থিতিতেই পাত্রীর বাড়ির লোকেরা উচ্ছ্বাস জাহির করতে আকাশে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। ঠিক যেমনটি দেখা যায় বিহারের বিয়ের শোভাযাত্রায়। এতেই নাকি বিয়ের আসল উল্লাস। আর তখনই ঘটে অঘটন। পাত্রের নিজের দাদা সোনু সিংয়ের পিঠে গুলি লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বারাসতের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর কাঁকিনাড়ার বাসিন্দা সোনুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেই খবর।
[ভোটকর্মীদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য? রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের]
ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। পাত্রীর দুই আত্মীয় রাজু সিং এবং রবি সিংকে গুলি চালানোর অপরাধে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যে বন্দুকটি থেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সোনু সিং, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। জেরায় গুলি চালানোর কথা স্বীকারও করেছে অভিযুক্তরা। তাদের এদিনই বারাসত আদালতে তোলা হয়। তবে এই চাঞ্চল্যের মধ্যেও দুই পরিবারের স্বস্তি একটাই। পুলিশ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে। প্রতিকূলতাকে জয় করেই চারহাত এক হয় বর-কনের।
The post বিয়ের আসরে ছন্দপতন, কনের আত্মীয়র গুলিতে জখম বরের দাদা appeared first on Sangbad Pratidin.
