shono
Advertisement

করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যবস্থা, বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা সিল করল পুলিশ

এলাকার প্রবেশ পথগুলিতেও লাগানো হয়েছে পোস্টার। The post করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যবস্থা, বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা সিল করল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 04:03 PM Apr 13, 2020Updated: 04:03 PM Apr 13, 2020

ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: করোনা সংক্রমণ রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি এলাকাকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে মধ্যমগ্রাম থেকে নিউ বারাকপুর পর্যন্ত এলাকাও। এবার ওই এলাকা থেকে যাতে কেউ বেরোতে বা ঢুকতে না পারে, তাই অস্থায়ী বর্ডার তৈরি করা হয়েছে। গোটা এলাকা ব্যারিকেড দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রবেশ পথে লাগানো হয়েছে পোস্টারও।

Advertisement

বিদেশ ফেরত মধ্যমগ্রামে এক মহিলার শরীরে প্রথমে করোনা সংক্রমণের হদিশ মেলে। তারপর কাউন্সিলর এবং তাঁর গাড়িচালকের নমুনা রিপোর্টেও মেলে করোনার প্রমাণ। এই নিয়ে মোট ৩ জনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস সংক্রমণের হদিশ। তাই জায়গাটিকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রবিবার বিকেলেই পুলিশের তরফে নিউ বারাকপুরের প্রবেশ পথ বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়। লকডাউনের সময়ে নিউ বারাকপুর পুর এলাকা থেকে কেউ যাতে বাইরে যেতে এবং প্রবেশ করতে না পারে, তাই এই বন্দোবস্ত। মধ্যমগ্রাম স্টেশন সংলগ্ন খালের উপর দিয়ে যানবাহন-সহ মানুষের যাতায়াতের একটি ব্রিজ রয়েছে। এই ব্রিজই মধ্যমগ্রাম ও নিউ বারাকপুরের মধ্যে যাতায়াতের অন্যতম রাস্তা। সেই ব্রিজও বাঁশের উঁচু ব্যারিকেড করে সিল করে দেওয়া হয়। প্রবেশ নিষেধের পোস্টারও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য প্রবেশ পথও একইভাবে আটকে দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আতঙ্কের মাঝে স্বস্তি, কোয়ারেন্টাইনে থাকা দুর্গাপুরের নার্সিংহোমের ২৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ]

উল্লেখ্য, এই এলাকাগুলিতে ঠিক কীভাবে কাজ করা হবে তা নিয়ে মাইক্রো প্ল্যানিংও করেছে সরকার। শনিবারও একাধিক জেলার আধিকারিক বৈঠক করেছেন তা নিয়ে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আক্রান্তের বাড়ির মোটামুটি এক কিলোমিটার চৌহদ্দি জুড়ে বাড়তি সতর্কতা বলবৎ হবে। অযথা মেলামেশা চলবে না। অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরের লোকের প্রবেশও যেমন নিষিদ্ধ, তেমন স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না। প্রবেশপথ এক বা একাধিক যা-ই হোক না কেন, প্রহরায় পুলিশকর্মী অথবা সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকবেন। নিয়মিত সবার হেলথ চেক আপ না হলেও কারও সামান্য জ্বর অথবা অন্য সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট হবে। গোটা এলাকা নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে নলকূপে একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তির যাওয়া চলবে না। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসন জলের ব্যবস্থা করতে পারে। বড় বাজার বসবে না। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান নিশ্চিত থাকবে। এও ঠিক হয়েছে, এক বা একাধিক নোডাল অফিসার পুরো প্রক্রিয়া তদারকি করবেন, যাঁদের ফোন নম্বর জানিয়ে দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারকে। এলাকা বড় হলে এবং জনসংখ্যা বেশি হলে একাধিক নম্বর থাকবে হেল্পলাইন হিসেবে। কেউ অসুস্থ হলে অথবা অন্য সমস্যায় পড়লে হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা যাবে। সাহায্যের হাত বাড়াতে তৈরি থাকবে টিম।

দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: রাজনীতি ভুলে করোনা রোখার লড়াই, তৃণমূল কর্মীদের হাতে মাস্ক তুলে দিলেন বিজেপি বিধায়ক]

The post করোনা সংক্রমণ রুখতে ব্যবস্থা, বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা সিল করল পুলিশ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup মহানগর toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার