সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের বীরভূমে (Birbhum) দলের সভাপতি, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রবিবার সিউড়িতে প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে তিনি বলেন, ”কেষ্টকে কতদিন ধরে জেলে ভরে রেখেছে, কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে মুছে ফেলতে পারেনি। আমি দেখছিলাম, তরুণ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ওর কথা বলছে। ও কাজ করতে জানে বলে জেলে আটকে দিয়েছে।”
তৃণমূলের (TMC) প্রায় জন্মলগ্ন থেকে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal) দলের অন্যতম একনিষ্ঠ কর্মী। বীরভূমের মাটিতে ঘাসফুল সংগঠন প্রায় নিজের হাতে গড়ে তুলেছেন। বীরভূমের জেলা সভাপতি পদে তাঁকে বসিয়েছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে বীরভূমের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের একাংশের সংগঠন দেখার দায়িত্বও দিয়েছিল দল। আর প্রায় কোনও নির্বাচনেই অনুব্রতর নেতৃত্বাধীন এলাকায় ঘাসফুলের ফলাফল দলকে নিরাশ করেনি। উনিশের ভোটে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের সময়েও বীরভূমের দুটি লোকসভা কেন্দ্রই ছিল ঘাসফুলের দখলে। তাঁর সেই কাজের কথাই রবিবারের সভা থেকে মনে করিয়ে দিলেন দলনেত্রী।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত জৈন সম্প্রদায়ের বর্তমান মহাবীর আচার্য বিদ্যাসাগর মহারাজ]
সেই অনুব্রত মণ্ডলকেই ২০২২ সালে গরু পাচারের অভিযোগে সিবিআই (CBI) গ্রেপ্তার করে। আপাতত তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। তা সত্ত্বেও অনুব্রত মণ্ডলকে দলের পদ সরানো হয়নি। বরং বারবার তাঁর পাশেই দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর অভিযোগ, অনুব্রত প্রতিহিংসার শিকার, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে জোর করে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবারও ফের কেষ্টর গড় থেকে জেলা সভাপতির পাশে দাঁড়ালেন। বললেন, ”কেষ্ট কাজ করেছে, তাই ওকে জেলে আটকে রেখেছে। কতদিন ধরে জেলে বন্দি, কিন্তু মানুষের মন থেকে ওকে মুছে ফেলা যায়নি।”
[আরও পড়ুন: নাভালনির দেহ ঘিরে ধোঁয়াশা! ধন্দে প্রয়াত নেতার পরিবার]
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি থাকাকালীন বীরভূমের সাংগঠনিক কাজকর্ম চালানোর জন্য ৫ জনের কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁদের নেতৃত্বেই লোকসভা ভোটে ঝাঁপাবে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে কোর কমিটি কাজ করবে অনুব্রতর দেখানো পথেই।