সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোলপুরে পৌঁছেই নোবেলজয়ী অর্মত্য সেনের বাড়ি ‘প্রতীচী’তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কথা বললেন জমিজট নিয়ে। অর্মত্য সেনের বাড়িতে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, জমি নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে বিশ্বভারতীর তরফে তা মিথ্যে। বললেন, “অর্মত্য সেনকে অপমান আমার গায়ে লেগেছে।” পরিস্থিতি বিবেচনা করে অমর্ত্য সেনকে জেড প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: অভিষেকের সঙ্গে হিরণের কী কথাবার্তা? অডিও ফাঁস করার হুমকি অজিত মাইতির]
সোমবার দুপুরে কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনের পর বোলপুর রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পৌঁছে প্রথমে একটি হাটে যান তিনি। সেখান থেকে সোজা পৌঁছে যান প্রতীচী অর্থাৎ অমর্ত্য সেনের (Amartya Sen) বাসভবনে। বিশ্বভারতী যে জমি ফেরত চেয়ে নোবেলজয়ীকে চিঠি পাঠিয়েছে সেই জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে সেখানে যান মমতা। নোবেলজয়ীর হাতে তুলে দেন জমির গুরুত্বপূর্ণ নথি। কাগজপত্র দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বভারতী মিথ্যে দাবি করছেন। পরিকল্পনামাফিক অমর্ত্য সেনকে অপমান করা হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, “ওনার অপমান আমার গায়ে লেগেছে।” এদিন অমর্ত্য সেনের বাড়িতে চা-সিঙাড়াও খান মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন নবতিপর নোবেলজয়ীকে জেড প্লাস নিরাপত্তার।
অমর্ত্য সেনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে জমি ফেরানোর দাবি করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ, তার নথি তুলে ধরে দাবি করেন বিশ্বভারতী মিথ্যে কথা বলছে। মমতা বলেন, “আমি এই কাগজ জোগাড় করেছি সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে। এটাই প্রমাণ যে অমর্ত্য দা যা বলছেন, সেটা ঠিক।” এরপরই নাম না করে তোপ দাগেন বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে। খোঁচা দিয়ে বলেন, “বিশ্বভারতীতে ছাত্রদের সাসপেন্ড, শোকজ বন্ধ হোক। আমরা বিশ্বভারতীকে রবীন্দ্রনাথের চোখে দেখি, গৈরিকিকরণের চোখে দেখি না।” এরপরই হুঙ্কার ছেড়ে বলেন, “অমর্ত্য দা ও তাঁর পরিবারকে যেন বিব্রত না করা হয়।”