shono
Advertisement

‘ডিম কোথা থেকে দেব?’, মিড-ডে মিলের পরিবর্তিত মেনু দেখে থ মুখ্যমন্ত্রী নিজে

বরাদ্দ টাকায় পেটভরে ডাল-ভাত খাওয়ান, বললেন মমতা। The post ‘ডিম কোথা থেকে দেব?’, মিড-ডে মিলের পরিবর্তিত মেনু দেখে থ মুখ্যমন্ত্রী নিজে appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:56 PM Aug 26, 2019Updated: 07:30 PM Aug 26, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুঁচুড়ার স্কুলে মিড-ডে মিল নিয়ে অশান্তির জেরে বেড়েছিল প্রশাসনিক নজরদারি, বদলে গিয়েছিল মেনুও। নুন-ভাতের বদলে একেবারে তালিকা করে সাপ্তাহিক খাবার স্থির করে দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসনের তরফে। তা দেখাদেখি পূর্ব মেদিনীপুরেও মিড-ডে মিলে একাধিক পদ চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। নতুন মেনুতে ছিল ডিম, সোয়াবিন, মুরগির মাংসের মতো উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবার। কিন্তু এই মেনু দেখে নিজেই থ মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তাঁর প্রশ্ন, ‘সংবাদমাধ্যমে লিখে দেওয়া হচ্ছে, মিড-ডে মিলে নাকি সাত দিনে সাতরকম পদ খাওয়ানো হবে, এটা কি ঠিক? আমিই জানি না, আর ওরা লিখে দিচ্ছে!’

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাধা অর্থ, বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছেন ‘পদ্মশ্রী’ প্রাপ্ত সমাজসেবী করিমুল]

এরপর তিনি মুখ্যসচিব মলয় দে-কে পাশে নিয়ে বলেন, “মিড-ডে মিলে আমরা পড়ুয়া পিছু ৪ টাকা ৩১ পয়সা করে পাই। এই টাকায় ডিম খাওয়াব কোথা থেকে? একটা ডিমের দাম কত? ৬ টাকা।” এরপর আরও চুলচেরা হিসেবনিকেশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৪ টাকা ৩১ পয়সায় ভাল করে ভাত-ডালই হয় না, তো ডিম! আমি বলছি, মিড-ডে মিলে ভাত-ডাল আরেকটা তরকারি পেট ভরে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করুন”।
স্কুলে মিড ডে মিল নিয়ে এই জটিলতা তৈরি হয়েছিল হুগলির বাণীমন্দির প্রাথমিক স্কুল থেকে। হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় গত সপ্তাহে একদিন ওই স্কুলে গিয়ে দেখেন, ছাত্রছাত্রীরা শুধু নুন দিয়ে ভাত খাচ্ছেন। তারপরই এই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল ওঠে রাজ্যজুড়ে। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেন জেলাশাসক রত্নাকর রাও। তিনি নিজেও কদিন পর ওই স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বসে ডিম-ভাত
খান। আর বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেন যে জেলার সমস্ত স্কুলে মিড-ডে মিলের মেনু বদলে যাচ্ছে। সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস, দু দিন ডিম আর একদিন মাছ ছিল নতুন মেনুতে। দেখাদেখি একইদিনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও মিড-ডে মিলের মেনু বদলে দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুই জেলাশাসকের সইও ছিল।

[আরও পড়ুন: অনাবৃষ্টি থেকে রাজ্যকে বাঁচাতে জলশ্রী প্রকল্প চালু করছেন মমতা]

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, দুই জেলায় সরকারি পরিষেবা মিড-ডে মিলের মেনু পালটে গেল মুখ্যমন্ত্রীর অগোচরেই? এটা কীভাবেই বা সম্ভব?এনিয়ে হুগলির জেলাশাসক রত্নাকর পাণ্ডের অবশ্য স্মার্ট জবাব, “শিশুদের প্রোটিন খাবার দিতে হবে তো! ডিম যদি না দেওয়া যায়, তা হলে সয়াবিন দিতে হবে।” এর জন্যে যে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের অনুমতি লাগে, তা কি জানেন না জেলাশাসক? যদি তা জানাই থাকে,
তাহলে এই বিভ্রান্তির অর্থ কী?এই প্রশ্নই উঠছে অভিভাবক মহলে। ক্ষিপ্ত মুখ্যমন্ত্রীও।

The post ‘ডিম কোথা থেকে দেব?’, মিড-ডে মিলের পরিবর্তিত মেনু দেখে থ মুখ্যমন্ত্রী নিজে appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement