বাবুল হক, মালদহ: শিক্ষিকার সামনে জুতো (Shoe)এনে তা পরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ! মালদহের (Maldah) কানর্তুকা এলাকায় তা নিয়েই তুমুল অশান্তি। জনৈক ব্যক্তির এমন অবিবেচক ‘নির্দেশ’ মানতে চাননি প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষিকা তৃষিতা কুণ্ডু। আর তার জন্য তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হল। লাঠিসোটা দিয়ে মারধরের (Beaten) জেরে হাত ভাঙল তৃষিতাদেবীর। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যজিৎ রায় নামে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে হবিবপুর থানার পুলিশ।
হবিবপুর থানার অন্তর্গত কানর্তুকা এলাকার বাসিন্দা তৃষিতা কুণ্ডু রোজকার মতো বৃহস্পতিবারও স্কুলে (School) গিয়েছিলেন। তিনি স্থানীয় চকশুপুর স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের শিক্ষিকা। অভিযোগ, স্কুলে ঢোকার মুখে সত্যজিৎ রায় নামে এক ব্যক্তি শিক্ষিকার সামনে জুতো ফেলে দিয়ে সেই জুতো পরিয়ে দিতে বলেন। তৃষিতাদেবী সঙ্গে সঙ্গে তা অস্বীকার করেন। এর পরই তাঁকে মারধর শুরু করে সত্যজিৎ নামে ওই ব্যক্তি। অভিযোগ এমনই। তাঁকে মারধর করতে দেখে ছুটে আসেন স্কুলের মিড ডে মিলের রাঁধুনি ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁরাই তৃষিতাদেবীকে উদ্ধার করেন। প্রথমে গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডে ফের মাও হানা, রেললাইন ওড়াল নকশালরা, হাওড়া-মুম্বই শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল ]
বৃহস্পতিবার রাতেই সত্যজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে তৃষিতা কুণ্ডুর পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২০১৮ সালে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অশালীন আচরণের অভিযোগ করেছিলেন শিক্ষিকা। হবিবপুর থানার পক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। তিন মাস জেল হয় তার। তার পর ছাড়া পেয়ে যান। এবার আবারও ওই শিক্ষিকার উপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল সত্যজিৎ।